নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। — ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ে নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল সে রাজ্যের সরকার। মঙ্গলবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। পাশাপাশি, নিহত সাংবাদিকের স্মৃতিতে একটি পৃথক ভবনও গড়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, সাংবাদিকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে একটি ভবনও নির্মাণ করা হবে। মুকেশের স্মৃতিতে সেই ভবনের নামকরণ করা হবে তাঁরই নামে।
দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৩ জানুয়ারি ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাংবাদিক মুকেশের দেহ। যে ঠিকাদারের বাড়ি থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সুরেশ চন্দ্রকরকে গত ৫ জানুয়ারি হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হন আরও তিন জন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশকে খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ সুরেশই। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন ওই ঠিকাদার। প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং ৩০০টি মোবাইল নম্বর ‘ট্র্যাক’ করে তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সুবাদে বস্তার এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন ৩৩ বছর বয়সি মুকেশ। পাশাপাশি, নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে জেলার নানা রকম খবর তুলে ধরতেন তিনি। জনপ্রিয় ওই চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষেরও বেশি। গত ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মুকেশ। এর দু’দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মুকেশের দাদা যুকেশও পেশায় সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি ঠিকাদার সুরেশের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাঁর ভাই। এ জন্যই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। মুকেশের পরিবারের দাবি, দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকে তাঁকে নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হত। কিন্তু সে সবকে উপেক্ষা করেই এত দিন সত্যকে প্রকাশ্যে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুকেশ।