Cheetah

কুনোতে আবার মৃত্যু হল চিতার, গাছ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছিল শাবকটি

যে শাবকটির মৃত্যু হয়েছে, সেটির বয়স পাঁচ মাস। সূত্রের খবর, রবিবার গাছে উঠে খেলার সময় পড়ে শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত পায় শাবকটি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৫১
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আবারও মৃত্যু হল এক চিতাশাবকের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে চিতাগুলি আনা হয়েছিল, তার মধ্যে গামিনী নামে চিতাটি ছ’টি শাবকের জন্ম দেয়। মঙ্গলবার সেগুলির মধ্যে একটির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

যে শাবকটির মৃত্যু হয়েছে, সেটির বয়স পাঁচ মাস। সূত্রের খবর, রবিবার গাছে উঠে খেলার সময় পড়ে শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত পায় শাবকটি। গুরুতর জখম হয় সেটি। ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কুনো জাতীয় উদ্যানের এক কর্মী দেখেন যে, গামিনীর একটি শাবক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর। বিষয়টি জাতীয় উদ্যানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি।

তার পরই আহত শাবকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, শাবকটির শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তড়িঘড়ি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয় শাবকটির। কিন্তু রাতের দিকে শাবকটির অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার মৃত্যু হয় সেটির।

গত মার্চেই কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব ঘোষণা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চিতার মধ্যে গামিনী নামে একটি চিতা ছ’টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। গামিনীর সঙ্গে শাবকের ছবিও এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী। কুনোতে এখন ১২টি শাবক-সহ ২৫টি চিতা রয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে ১০টি চিতার মৃত্যু হয়। চিতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এই প্রকল্প সমালোচনা এবং প্রশ্নের মুখে পড়ে।

আরও পড়ুন
Advertisement