মুম্বই বিমানবন্দর। ছবি: পিটিআই।
প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে গিয়েছে ‘বিপর্যয়’। আরব সাগরে ক্রমশ তা শক্তি বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে মুম্বইতে। তাতে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও।
মুম্বই বিমানবন্দরে রবিবার সন্ধ্যার ছবিটা ছিল উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের। প্রবল বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছিল অনেকটা। ফলে বিমান ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বেশ কিছু বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে ছাড়েনি বহু বিমান। মুম্বই বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া যাত্রীরা এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন। কেউ বিমান ধরবেন বলে, কেউ আবার বিমান থেকে নামা যাত্রীদের স্বাগত জানাবেন বলে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়। বিমান ছাড়বে কি না, বাতিল করে দিতে হবে কি না, নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারছিলেন না কর্তৃপক্ষ।
কিছু ক্ষেত্রে আবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানবন্দরে বিমান নামতেই পারেনি। নির্ধারিত সময়ে মুম্বইয়ের মাটি ছোঁয়নি অনেক বিমান। ফলে সেই বিমানের ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা যেমন উৎকণ্ঠায় ভুগছিলেন, তেমন যাত্রীদের পরিজনেরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন।
রবিবারের পরিষেবা নিয়ে টুইট করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং মুম্বই বিমানবন্দরের ৯/২৭ রানওয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার কারণে কিছু বিমান বাতিল করতে হয়েছে। কিছু বিমান দেরিতে ছাড়ছে। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যাত্রীদের ভোগান্তির জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছে সংস্থা। এ ছাড়া, টুইটারে পৃথক ভাবে যাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দেখা গিয়েছে ইন্ডিগোকে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বৃহস্পতিবার গুজরাত এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়বে। এর ফলে গুজরাতের একাধিক এলাকায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হবে মুম্বইতেও।