Apple iPhone Hacking Alert

আইফোনে হ্যাকিং নিয়ে অ্যাপলের সতর্কবার্তার তদন্তে মোদী সরকারের সাইবার নজরদারি সংস্থা

কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা বুধবার দাবি তুলেছেন, এ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হোক। তাতে এখনও সায় দেয়নি কেন্দ্র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৩

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ কয়েক জন বিরোধী নেতা-নেত্রীর কাছে আমেরিকার সংস্থা অ্যাপলের হ্যাক-সতর্কবার্তার তদন্ত করবে ‘ভারতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা’ (ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা ‘সিইআরটি-ইন’)। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

মহুয়া মঙ্গলবার সকালে অ্যাপলের মেসেজ এবং ইমেল নোটিফিকেশনের স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, তাঁর আইফোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার হ্যাক করতে চাইছে বলে সতর্কবার্তা এসেছে। মহুয়ার সেই অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কাও অ্যাপল সংস্থা থেকে পাওয়া ‘সতর্কবার্তার’ কথা জানিয়েছেন। একই অভিযোগ এসেছে আপ সাংসদ রাঘব চড্ডা, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির তরফেও।

মহুয়ার দাবি, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং কংগ্রেসের পবন খেড়ার কাছেও অ্যাপলের তরফে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা সংক্রান্ত একই সতর্কবার্তা (অ্যালার্ট মেসেজ) এসেছে। সতর্কবার্তায় স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, ‘রাষ্ট্র পরিচালিত হ্যাকারেরাই এই কাজ করছে’। মহুয়ার ওই অভিযোগের পরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যে সাংসদেরা সরব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক তাঁদের ফোন হ্যাক করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘পাঁচ-ছয় জন সাংসদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে।’’

কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো মঙ্গলবারেই ঘটনার সাফাই দিয়ে দাবি করেছিলেন, অ্যাপলের তরফে ওই সতর্কবার্তা আরও অন্তত দেড়শোটি দেশে গিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সব সময় এমন সতর্কবার্তা সত্যি হয়, তা নয়। এই বার্তাও সেইরকম ‘ফল্‌স অ্যালার্ম’ হতে পারে।” তবে একই সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই বার্তা কেন এল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যাঁরা ওই সতর্কবার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন তদন্তে সহযোগিতা করেন।’’ সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘অ্যালগরিদ‌্মের ত্রুটি’র কারণেই এমন বার্তা পেয়েছেন অনেক নেতা। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা একে ‘হাস্যকর অজুহাত’ বলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন বেছে বেছে শুধু বিরোধীরাই পেলেন এই বার্তা।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘সিইআরটি-ইন’-এর তদন্তে বিরোধীরা সন্তুষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা বুধবার দাবি তুলেছেন, এ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হোক। সেখানে অ্যাপল সংস্থার প্রতিনিধিদেরও ডেকে পাঠানো হোক। কিন্তু মোদী সরকারের তরফে সেই দাবি মানার ঘোষণা হয়নি। অন্য দিকে, মহুয়া লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে দাবি তুলেছেন, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার জবাবদিহি চাওয়া হোক।

Advertisement
আরও পড়ুন