Indian Parliament

নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার প্যানেলে থাকবেন না প্রধান বিচারপতি, বিল পেশ রাজ্যসভায়

বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন নিয়োগের নতুন বিল আইনে পরিণত হলে কমিশন ‘প্রধানমন্ত্রীর হাতের পুতুলে পরিণত হবে’। এই বিলের বিরোধিতা করা হবে বলে জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৩
Centre’s bill drops Chief Justice from poll officers selection process, opposition parties oppose

রাজ্যসভা। —ফাইল চিত্র।

দেশের নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এই মর্মে বৃহস্পতিবারেই রাজ্যসভায় বিল পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিল আইনে পরিণত হলে কেন্দ্রের সঙ্গে বিচারবিভাগের টানাপড়েন আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশনার বিল, ২০২৩’। সেই বিলের প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি কমিটি বেছে নেবে। কমিটিতে থাকবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রধান বিচারপতি। তবে একই সঙ্গে ওই রায়ে বলা হয়েছিল, নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত আগের আইন বলবৎ থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট তার আগের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের মার্চ মাসের রায়ের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিতেন রাষ্ট্রপতি।

বিরোধীরা অবশ্য প্রস্তাবিত এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, ওই বিল আইনে পরিণত হলে নির্বাচন কমিশন ‘প্রধানমন্ত্রীর হাতের পুতুলে পরিণত হবে’। কংগ্রেস ন‌েতা কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, তাঁরা আগাগোড়া এই বিলের বিরোধিতা করবেন। এই প্রসঙ্গে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল বলেন, “একের পর এক সিদ্ধান্তে দেশের গণতন্ত্রকে দুর্বল করা হচ্ছে।” বিরোধিতার ব্যাখ্যায় দলগুলি জানিয়েছে, তিন জনের প্যানেলে যদি সরকারের দু’জন প্রতিনিধি থাকে, তবে কোনও নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে না।

আরও পড়ুন
Advertisement