Bus Catches Fire

হরিয়ানায় যাত্রিবাহী চলন্ত বাসে আগুন, পুড়ে মৃত্যু ৮ জনের, আহত ২৪, তীর্থ করে ফেরার সময় দুর্ঘটনা

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি বৃন্দাবন এবং মথুরা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিল। মূলত পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের যাত্রীরা ওই বাসে ছিলেন বলে খবর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ০৮:১২
বাসে আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য।

বাসে আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

হরিয়ানায় যাত্রীবোঝাই চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হল আট জনের। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ হরিয়ানার নুহ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ২৪ জন আহত হয়েছেন। বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন বলে খবর। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তীর্থযাত্রী।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি বৃন্দাবন এবং মথুরা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিল। মূলত পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের যাত্রীরা ওই বাসে ছিলেন বলে খবর। নুহের কাছে কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটিতে আগুন ধরে যায়। পুড়ে মৃত্যু হয় আট জনের। স্থানীয়েরা চলন্ত বাসে আগুন দেখতে পেয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। ইতিমধ্যেই আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

তবে কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

ওই বাসের এক মহিলা যাত্রী ‘ইন্ডিয়া টুডে টিভি’কে জানিয়েছেন যে, বাসে আগুন ধরে যাওয়ার পর তিনি লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এক জন বাইক আরোহী বাসে আগুন ধরেছে দেখে চালককে সতর্ক করার জন্য এগিয়ে যান। কিন্তু তত ক্ষণে আগুন ছড়িয়ে যায়। ওই যাত্রীর কথায়, ‘‘আমি বাসের নীচ থেকে একটি শব্দ শুনতে পেলাম। আমি ভেবেছিলাম গাড়িটি বাম্পারে ধাক্কা খাওয়ার কারণে ও রকম আওয়াজ হচ্ছে। পরে পোড়া গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি আগুন লেগেছে। এক জন বাইক আরোহী তখন চালককে আগুন লাগার বিষয়ে সতর্ক করেন। আমি একদম সামনের সিটে বসেছিলাম। তাই প্রাণ বাঁচাতে লাফ দিয়ে দিয়েছিলাম।’’

মহিলা জানিয়েছেন যে, তিনি পঞ্জাবের বাসিন্দা এবং তীর্থযাত্রা করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে তাঁর আরও অনেক আত্মীয় ছিলেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement