গ্রামের এক প্রান্ত থেকে যুবতীর ঝলসানো দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বাড়ির লোকেরা তাঁকে খুন করবে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসার দু’দিন পরে যুবতীর ঝলসানো দেহাংশ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ের। পরিবারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাফিজপুর থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যুবতীর। পরিবারের সদস্যরা সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এর পরই নিজের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবতী। থানায় গিয়ে বলেন, “বাড়ির লোকেরা আমাকে খুন করতে পারে। আমি নিরাপদ নই।” পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে আসার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন যুবতী।
তাঁকে না দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। এর পরই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। যুবতীর পরিবারের সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারার পরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানান। শুধু তাই-ই নয়, ওই যুবতীকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এর পরই যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁর দাদা। দেহ লোপাটের জন্য সকলের অলক্ষে গ্রামের এক প্রান্তে নিয়ে গিয়ে সেই দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
হাপুড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকেশ চন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, মীনাক্ষী নামে ওই যুবতীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর দাদা। এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।