এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নাবালিকা স্ত্রীর সম্মতিক্রমে যৌন সংসর্গ স্থাপন করলেও তা ধর্ষণ বলেই গণ্য হবে। একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। নাবালিকা স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু সম্মতির বিষয়টি যুক্তি হিসাবে খাড়া করে সাজা মকুবের আর্জি জানান অভিযুক্ত। কিন্তু নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রেখে উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, ১৮ বছরের কম বয়সি কোনও নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণই। সে ক্ষেত্রে ওই নারী বিবাহিত হলে কিংবা তাঁর সম্মতি নেওয়া হলেও অপরাধ লঘু হয় না বলে জানিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।
২০১৯ সালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারিণী। তিন-চার বছর প্রেমের পর পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন দু’জনে। পরে অবশ্য তাঁদের বিয়ে ভেঙে যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন অভিযোগকারিণী। দাবি করেন, ধর্ষণের কারণেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। আর সেই কারণেই অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গর্ভপাত করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে ১০ বছরের সাজা দিলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। দাবি করেন, অভিযোগকারিণীর সম্মতিক্রমেই তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। হাই কোর্টের বিচারপতি জিএ সনপের পর্যবেক্ষণ, “যখন স্ত্রী বা সঙ্গিনীর বয়স ১৮-র কম, তখন সম্মতি নিয়ে যৌন সংসর্গ করার যুক্তি খাটে না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “যদি ধরেও নিই দু’জনের মধ্যে তথাকথিত একটা বিয়ে হয়েছিল, তা হলেও এটিকে সম্মতি নিয়ে যৌন সংসর্গ স্থাপন বলা যায় না। অভিযোগ মোতাবেক এটি ধর্ষণ বলেই গণ্য হবে।”
অভিযোগকারিণীর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তা অভিযুক্তের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাই কোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্ত যে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।