—প্রতীকী চিত্র।
বিভিন্ন জেলের কয়েদিদের প্যারোলে মুক্তি সংক্রান্ত ডাক্তারি শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছিল একটিই মাত্র হাসপাতাল থেকে। সম্প্রতি এমন বেশ কিছু ঘটনা নজরে এসেছিল বম্বে হাই কোর্টের। এ বার সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। ডাক্তারি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও সন্দেহজনক কিছু রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য ঔরঙ্গাবাদের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং বিচারপতি এসজি চপলগাঁওকরের বেঞ্চ। ডাক্তারি শংসাপত্রের অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কার কথাও ভাবাচ্ছে আদালতকে।
বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “আমরা দেখছি প্যারোলের জন্য আবেদনকারীদের একটিই হাসপাতাল থেকে শংসাপত্রগুলি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমরা মনে করছি, স্বয়ং পুলিশ সুপার বা কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকের এটি খতিয়ে দেখা উচিত।” কেন কেবলমাত্র একটি হাসপাতাল থেকেই প্যারোলের জন্য চিকিৎসা শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে? কতটা সময়ের ব্যবধানে এই শংসাপত্রগুলি দেওয়া হচ্ছে? পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কুন্দন সুরেশ নামে যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে বিয়ের জন্য ৩০ দিনের প্যারোলে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে ২১ অগস্ট তিনি প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কারা দফতরে আবেদন জানান। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না রাজ্য প্রশাসন। তা নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুন্দন।
ওই মামলার শুনানি চলাকালীনই বিষয়টি সন্দেহজনক ঠেকে আদালতের। কুন্দনের দাবি ছিল, স্ত্রীর গর্ভাবস্থাকালীন শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে একটি ডাক্তারি শংসাপত্রও জমা দিয়েছিলেন তিনি। সেটি জারি করা হয়েছিল রঞ্জনগাঁওয়ের একটি হাসপাতাল থেকে। অথচ কুন্দনের স্ত্রী থাকেন নাসিকে। সে ক্ষেত্রে কেন তিনি অন্য জেলা ঔরঙ্গাবাদের রঞ্জনগাঁও থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন আদালতের। রঞ্জনগাঁওয়ের ওই হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডাক্তারি শংসাপত্রের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে বম্বে হাই কোর্ট।