(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটপ্রচারে গিয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার জম্মু ডোডায় বিজেপির সভায় তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের যে নেতা ‘মহব্বত কি দুকান’ বলেন, তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা আমেরিকার মাটিতে ভারতীয় সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়েছেন।’’
আমেরিকায় রাহুলের সফরসঙ্গী ‘মিডিয়া টিম’-এর কয়েক জন সদস্য একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার ওই অভিযোগ ওঠার পরেই কংগ্রেসের বৈদেশিক শাখার চেয়ারম্যান শ্যাম পিত্রোদা কড়া ভাষায় ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, কংগ্রেস কখনও এমন আচরণ সমর্থন করে না। জম্মুতে প্রচারে গিয়ে সেই প্রসঙ্গেই শনিবার সরব হন মোদী।
ডোডায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মোদী জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা নিয়েও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করেন শনিবার। এনসি প্রধান ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর ছেলে ওমরকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই রাজবংশের প্রতিনিধিরা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’’ সেই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এনসি-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে জম্মুর প্রতি অবহেলার অভিযোগও তোলেন তিনি। অতীতে মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিডিপির সঙ্গে জোট করলেও সম্প্রতি তাদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের মদতদাতা’ বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্য, ‘‘আমরা যখন পিডিপির সঙ্গে জোট করেছিলাম, তখন তাদের মধ্যে ভুল নজরে আসেনি।’’
প্রধানমন্ত্রী মোদী শনিবার থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটপ্রচার শুরু করলেন। ঘটনাচক্রে, তার আগে শুক্রবার থেকে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দিয়েছে জঙ্গিরা। শনিবার ভোরে জম্মুর কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে দুই সেনা নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে, কাশ্মীর উপত্যকার বারামুলায় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় দুই সেনা-সহ মোট সাত জনের মৃত্যু হল। শুক্রবার কাঠুয়ায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল।