Khalistan

Blast in Ludhiana Court: লুধিয়ানার আদালতে বিস্ফোরণে খলিস্তানি গোষ্ঠীর ‘ভূমিকা’ দেখছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, জার্মানিতে আত্মগোপনকারী খালিস্তানি জঙ্গি নেতা জসবিন্দর সিংহ মুলতানির লুধিয়ানা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার সম্ভাবনা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৩৬
বিস্ফোরণের পর লুধিয়ানা আদালত চত্বর।

বিস্ফোরণের পর লুধিয়ানা আদালত চত্বর। ছবি: সংগৃহীত।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে গগনদীপ সিংহ নামে পঞ্জাব পুলিশের এক বরখাস্ত কনস্টেবলের জড়িত থাকার তথ্য। কিন্তু লুধিয়ানার আদালতের বিস্ফোরণের ধরন দেখে খলিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পঞ্জাবের কিছু গোয়েন্দা আধিকারিক। তাঁদের মতে, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্জাবকে অশান্ত করে তোলার জন্য পরিকল্পনা মাফিক বিদেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা খলিস্তানি নেতাদের কাজে লাগাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

এমনকি, বৃহস্পতিবার সকালে লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত গগনদীপকে এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে বলে তাঁদের মত। প্রসঙ্গত, মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত কনস্টেবল গগনদীপ নিজেও ওই বিস্ফোরণে নিহত হন।

একটি গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, জার্মানিতে আত্মগোপনকারী খালিস্তানি জঙ্গি নেতা জসবিন্দর সিংহ মুলতানি লুধিয়ানা আদালতের বিস্ফোরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার মনসুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মুলতানির সঙ্গে আইএসআই এবং পাক চোরাচালান চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। সেই ‘নেটওয়ার্ক’ ব্যবহার করেই ভারতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করা হয়েছিল বলে ওই সূত্রের দাবি।

Advertisement

পঞ্জাব পুলিশের ডিজি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়ও শনিবার লুধিয়ানা বিস্ফোরণের নেপথ্যে খলিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী বব্বর খালসা এবং চোরাচালান চক্রের ভূমিকার কথা জানিয়েছেন।

সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসছে চোরাচালান চক্রের নেতা তথা খলিস্তানপন্থী সংগঠন ঘনিষ্ঠ হরবিন্দর সিংহ ওরফে রিন্দা সান্ধুর নাম। কানাডা-ভিত্তিক খলিস্তানপন্থী শিখ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-ও লুধিয়ানা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে জড়িত থাকতে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রিন্দার সঙ্গে এসএফজে সভাপতি অবতার সিংহ পান্নু এবং অন্যতম নেতা হরমিত সিংহ ওরফে হরপ্রীত ওরফে রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনকে ইউএপিএ আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সংগঠনটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাকিস্তান, বিশেষ করে আইএসআই এজেন্টদের ছড়াছড়ি। ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে আর্থিক মদত যোগায় ওই নিষিদ্ধ সংগঠন। নাশকতায় মদতের পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে নেটমাধ্যমে ভারত বিরোধী প্রচার চালায় তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement