BJP MPs Resign

লোকসভা থেকে পদত্যাগ করলেন বিজেপির ন’জন সাংসদ, রাজ্যসভাতেও এক জন! কোন কারণে?

সোমবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার দুই সদস্য, নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং প্রহ্লাদ পটেল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩২
অমিত শাহ (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী।

অমিত শাহ (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

বুধবার লোকসভার সদস্যপদ ছাড়লেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ ন’জন বিজেপি সাংসদ। রাজ্যসভা থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন এক বিজেপি সাংসদ। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে জয়ী ওই সাংসদদের এ বার রাজ্য রাজনীতিতে ‘মনোনিবেশ’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা মেনেই এই ইস্তফা। চার রাজ্যের ভোটে দলের মোট ২০ জন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এঁদের মধ্যে জিতেছেন ১২ জন। তাঁদেরই মধ্যে ১০ জন বুধবার ইস্তফা দিয়েছেন।

Advertisement

রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে সাত সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তালিকায় ছিলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। জয়পুরেরই জোটওয়ারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে জিতেছেন তিনি। জয়পুরের বিদ্যাধরনগর থেকে জিতেছেন রাজপরিবারের কন্যা তথা রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী। তালিকায় ছিলেন ‘রাজস্থানের যোগী আদিত্যনাথ’ হিসাবে পরিচিত মহন্ত বালকনাথ। অলওয়ারের বিজেপি সাংসদ বালকনাথ তাঁর এলাকায় তিজারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন।

এঁরা তিন জনই বুধবার পদ ছেড়েছেন। রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দিয়া এবং বালকনাথের নাম নিয়েও জল্পনা চলছে। বিধানসভা ভোটে সওয়াই মাধোপুর কেন্দ্রে জয়ী বিজেপি প্রার্থী তথা রাজস্থানের প্রবীণ রাজ্যসভা সাংসদ কিরোরীলাল মীনাও ইস্তফা দিয়েছেন বুধবার। প্রসঙ্গত, এ বার রাজস্থান বিধানসভা ভোটে বিজেপির তিন সাংসদ হেরেছেন। এঁরা হলেন ঝুনঝুনুর সাংসদ নরেন্দ্র কুমার (মান্ডওয়া), জালোরের বিজেপি সাংসদ দেবজী পটেল (সাঞ্চোরে) এবং অজমেরের সাংসদ ভগীরথ চৌধরি (কিসানগড়)।

মধ্যপ্রদেশে বিজেপির প্রার্থিতালিকায় ছিলেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ সাত সাংসদ। তাঁদের পাঁচ জন জিতেছেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীদের মধ্যে দামোহের সাংসদ প্রহ্লাদ পটেল (নরসিংপুর) এবং মোরেনার সাংসদ নরেন্দ্র সিংহ তোমর (দিমানি) জিতেছেন। কিন্তু ২০০৮ সালে লোকসভায় প্রশ্ন-ঘুষ মামলায় অভিযুক্ত মান্ডলার সাংসদ ফগ্গন সিংহ কুলস্তে নিওয়াস বিধানসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছেন।

বিজেপি মধ্যপ্রদেশে প্রার্থী করেছিল চার লোকসভা সাংসদ রাকেশ সিংহ (জব্বলপুর), গণেশ সিংহ (সাতনা), রীতি পাঠক (সিধি) এবং উদয়প্রতাপ সিংহ (নর্মাদাপুরম)-কে। সিধি বিধানসভা কেন্দ্রে রীতি, গদরওয়ারায় উদয়, এবং জব্বলপুর-পশ্চিমে রাকেশ জিতেছেন। তবে রীতি এবং রাকেশ সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছেন বুধবার। অন্য দিকে, সাতনা বিধানসভায় হেরে গিয়েছেন গণেশ।

মধ্যপ্রদেশের পড়শি রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সরগুজার সাংসদ রেণুকা সিংহ জিতেছেন ভরতপুর সোনহাট কেন্দ্রে। জয়ী হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিলাসপুরের সাংসদ অরুণ সাউ (লোরমি) এবং রায়গড়ের সাংসদ গোমতী সাইও (পাতালগাঁও)। অরুণ এবং গোমতী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন বুধবার।

যদিও দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তেলঙ্গানায় বিজেপি তিন সাংসদকে প্রার্থী করে সাফল্য পায়নি। আদিলাবাদের সাংসদ সোয়াম বাপু রাও বোয়াথ বিধানসভা আসনে এবং নিজামাবাদের সাংসদ ধর্মপুরী অরবিন্দ কোরাটলা বিধানসভায় হেরেছেন। করিমনগরের সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারও করিমনগর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে পরাস্ত হয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন