অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক গণপত গাইকড়। —ফাইল চিত্র।
থানার ভিতরেই শিবসেনা (শিন্ডে)-র এক নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনায় গণপত গাইকড় নামে ওই বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাসনগরের হিল লাইন থানার ভিতরে। সেখানে শিবসেনা (শিন্ডে) নেতা মহেশ গাইকড় এবং বিজেপি বিধায়ক গণপতের মধ্যে বচসা শুরু চলছিল। দুই রাজনৈতিক দলের নেতার মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন ইনস্পেক্টর অনিল জগতপ। কিন্তু তার মধ্যেই আচমকা বন্দুক বার করেন বিজেপি বিধায়ক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিন্ডে নেতার উপর গুলি চালিয়ে দেন তিনি। গুলি চলে গাইকড়ের এক সঙ্গীর উপরও। থানার ভিতরে ছ’টি গুলি করা হয়। মোট পাঁচ রাউন্ড গুলি লাগে শিন্ডে নেতার শরীরের বিভিন্ন অংশে। ওই নেতা এবং তাঁর সঙ্গীকে তড়ঘড়ি উদ্ধার করে ঠাণের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের দু’জনের শারীরিক পরিস্থিতিই আশঙ্কাজনক বলে খবর।
ওই ঘটনা নিয়ে ডিসিপি সুধাকর পাথারে বলেন, ‘‘মহেশ এবং গণপতের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। দু’জনেই থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কথাবার্তা চলছিল। তার মধ্যে গনপত গাইকড় মহেশ গাইকড় এবং আরও এক জনের দিকে গুলি চালিয়ে দেন। দু’জনেই গুরুতর জখম হয়েছেন। তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় শিবসেনা কটাক্ষ করেছে শিন্ডে শিবির এবং বিজেপিকে। অন্য দিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের ঘনিষ্ঠ। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে এখন জোট সরকার চালাচ্ছে শিবসেনা (শিন্ডে, বিজেপি এবং এনসিপি (অজিত)।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, কল্যাণ (পূর্ব) বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন এসইপি নীলেশ সোনাওয়ালে।