কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ তুলল বিজেপি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে পদ্মশিবিরের তরফে।
বিজেপির দাবি, ভোটঘোষণার পরেও মধ্যপ্রদেশের মান্ডলায় গিয়ে স্কুলপড়ুয়াদের মাসিক বৃত্তি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের জন্যও প্রিয়ঙ্কা ওই বৃত্তি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। বিজেপির দাবি, প্রিয়ঙ্কার ওই ঘোষণা ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী।
মধ্যপ্রদেশ বিজেপির আইন সেলের নেতা পঙ্কজ ওয়াধওয়ানি শনিবার বলেন, ‘‘১২ অক্টোবর মান্ডলার সভায় প্রিয়ঙ্কা প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক পড়ুয়াকে মাসিক ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা বৃত্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটঘোষণার পরে কোনও রকম আর্থিক প্রলোভন দেখানো যায় না। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা সেই কাজটি করেছেন। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
গত ৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশে এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১৭ নভেম্বর। গণনা হবে ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, মিজোরামের সঙ্গে আগামী ৩ ডিসেম্বর। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শিবরাজ সিংহ চৌহান। এ বার একাধিক জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত, কংগ্রেস নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে পারে ওই রাজ্যে।