Assembly Elections 2024

বিজেপির নজরে জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার বিধানসভা ভোট, নিয়োগ পর্যবেক্ষক

অক্টোবরে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ডে। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট করাতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪ ১৬:০১

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

বিধানসভা ভোটের আরও মাস চারেক দেরি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ফল দেখে আগেভাগেই তৎপরতা শুরু করে দিল বিজেপি। সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হল নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব ও অশ্বিনী বৈষ্ণোকে।

Advertisement

চলতি বছরের অক্টোবরে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ডে। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব। ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তাঁর সহকারী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্বে তেলঙ্গানার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।

লোকসভা ভোটের পরেই উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা, শরদ পওয়াপন্থী এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ দাবি করেছে, সে রাজ্যে সরকার পরিবর্তন আসন্ন। ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ে বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি জোট সরকারের পতন ঘটাবে শনিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছে তিন দল। তার পরেই সোমবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দিল বিজেপি।

লোকসভা ভোটে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিতপন্থী এনসিপির পাশাপাশি এনডিএ-তে ছিলেন রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা মহাদেব জানকর। পাশাপাশি রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনস)-ও সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএ-কে। তবুও বিপর্যয় এড়ানো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে মরাঠাভূমে নতুন সহযোগী দলের খোঁজ করা দুই পর্যবেক্ষকের অন্যতম দায়িত্ব বলে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং শিবসেনা একসঙ্গে লড়লেও ভোটের তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়ে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব। কিন্তু ২০২২ সালের জুনে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক উদ্ধবের নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে বিজেপি সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিলেন। পরে নির্বাচন কমিশন শিন্ডেগোষ্ঠীকেই ‘আসল শিবসেনা’ হিসাবে চিহ্নিত করে শিবসেনার নাম ও প্রতীক দেয়।

একই ভাবে গত বছরের জুলাই মাসে অজিতের নেতৃত্বে অধিকাংশ এনসিপি বিধায়ক দলের প্রতিষ্ঠাতা শরদের সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ-তে শামিল হয়। অজিতগোষ্ঠীকেও ‘আসল এনসিপি’র মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ এবং বিধানসভা ভোটে হরিয়ানার বিজেপি এবং ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছিল। অন্য দিকে, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মেয়াদ শেষ হলেও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে সেখানে ভোট হয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement