জমি আন্দোলন ‘ভাঙতে’ মধ্যরাতে পুলিশি হানা, বেধড়ক মারধর, কৃষক বিক্ষোভে ফুঁসছে বক্সর

বিহারের বক্সরের চৌসা ব্লকে একটি বড় অংশের জমি অধিগ্রহণ করেছে বিহারের একটি হাইড্রোইলেকট্রিক কোম্পানি। গত ২ মাস ধরে এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন কৃষকরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২৪
সিসি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বাড়িতে ঢুকে কৃষকদের মারধর করা হচ্ছে। নির্বিচারে লাঠিপেটা করা হয়।

সিসি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বাড়িতে ঢুকে কৃষকদের মারধর করা হচ্ছে। নির্বিচারে লাঠিপেটা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।

শীতের রাতে কৃষকদের বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। বাড়ির দরজা ভেঙে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সবার উপর নির্বাচারে লাঠি চালাল পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিহারের বক্সরের ঘটনা। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ওই মারধরের বেশ কিছু ছবি। তবে আনন্দবাজার অনলাইন এই ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার মধ্যরাতে বিহারের বক্সরে কয়েকটি বাড়িতে হানা দেয় নীতীশ কুমারের পুলিশ। তার পর কোনও বাক্যব্যয় না করে কৃষক পরিবারের উপরে নির্বিচারে লাঠি চালানো হয়। অভিযোগ, কাউকে কাউকে ঘুম থেকে তুলেই মারধর করে পুলিশ।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। বক্সরের চৌসা ব্লকে একটি বড় অংশের জমি অধিগ্রহণ করেছে বিহারের একটি হাইড্রোইলেকট্রিক কোম্পানি। গত ২ মাস ধরে এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে অতর্কিতে কৃষকদের উপরে হামলা করে আন্দোলন স্তিমিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যে সিসিটিভিতে ভাইরাল হয়েছে পুলিশের এই কৃষক পেটানোর ছবি। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিহার সরকার। তবে বিহার পুলিশের দাবি, প্রথমে তাদের উপরে আক্রমণ করা হয়। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁরা জানাচ্ছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের হটিয়ে দিতে লাঠিপেটার ভয় দেখাল পুলিশ। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, অমিত কুমার নামে এক পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয় তাঁদের। অন্য দিকে, মাঝরাতে কেন কৃষকদের বাড়িতে হানা দেওয়ার প্রয়োজন হল, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি বিহার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement