কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের আগে আরও সক্রিয়তা বাড়াতে পারে সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। বিরোধী নেতাদের নিশানা করে তল্লাশি অভিযান বাড়তে পারে। হতে পারে আরও গ্রেফতারির ঘটনাও। মুম্বইয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে শুক্রবার এ কথা বললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। তাঁর কথায়, ‘‘পটনা এবং বেঙ্গালুরু বৈঠক দেখে বিজেপির আশঙ্কা বেড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে আক্রমণের মাত্রা বাড়ানো হবে। বিজেপির এই প্রতিহিংসার রাজনীতির মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’’
এরই পাশাপাশি, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি সুকৌশলে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা চালাতে পারে বলেও শুক্রবার ‘সতর্কবার্তা’ শুনিয়েছেন খড়্গে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণা, শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীকে মোদী সরকারের বিভিন্ন রকম সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই সিবিআই-ইডি-কে লোকসভা ভোটের আগে আরও ‘সক্রিয়’ করা হবে।
বিরোধীদের আশঙ্কা, মণীশ সিসৌদিয়া, সেন্থিল বালাজির মতোই বিরোধী শিবিরের আরও কয়েক জন নেতাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বিভিন্ন মামলায়। বিশেষত, কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, আরজেডি, জেডিইউ, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব)-এর মতো শক্তিশালী বিরোধী দলগুলিকে বিশেষ ভাবে নিশানা করা হতে পারে।
ঘটনাচক্রে, মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের বৈঠকের আগেই মোদী ‘ঘনিষ্ঠ’ আদানিদের বিরুদ্ধে নতুন করে আর্থিক অনিয়মের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দু’টি প্রথম সারির বিদেশি সংবাদপত্র। অভিযোগ তোলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর টাকা দেশের বাইরে কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য মরিশাসে পাচার করা হয়েছে। যার পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার। পরে আবার তা ঘুরপথে আদানির সংস্থার শেয়ারেই লগ্নি করা হয়েছে। যার ফলে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থার শেয়ারদর ফুলেফেঁপে উঠেছে। গোটা কারবারে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি এবং দু’জন বিদেশি ব্যক্তি জড়িত। যাঁদের মধ্যে এক জন আবার চিনের নাগরিক। বৃহস্পতিবার মুম্বই পৌঁছেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কার টাকায় শেয়ার কিনেছিল আদানি গোষ্ঠী?’’