মহারাষ্ট্রের বাণী-ওয়ারোরা হাইওয়েতে এই বাঁশের বেড়া ব্যবহার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
ইস্পাত বা লোহার নয়, এ বার থেকে হাইওয়ে এবং জাতীয় সড়কের ‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করা হবে বাঁশ। শুনে আশ্চর্য লাগলেও, এমনটাই হতে চলেছে আগামী দিনে। শুধু তাই-ই নয়, বাঁশের তৈরি এই ‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’-এর সফলমূলক পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। চন্দ্রপুরের সঙ্গে যবতমল জেলার সংযোগকারী হাইওয়েতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’ লাগানো হয়েছে।
‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’ হল হাইওয়ে বা জাতীয় সড়কের ধারে ইস্পাত এবং লোহার তৈরি বেড়া। দুর্ঘটনা আটকাতে এই ধরনের বেড়া দেওয়া হয়ে থাকে। বাঁশের তৈরি এই বেড়ার ব্যবহার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরী দাবি করেছেন, এটি দারুণ একটি কৃতিত্ব। আত্মনির্ভর ভারতের আরও একটি ধাপ। লোহা বা ইস্পাতের বদলে বাঁশের তৈরি এই বেড়া যেমন পরিবেশবান্ধব একটি প্রকল্প, তেমনই এই প্রকল্প দেশের বাঁশশিল্পকে আরও চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে। বাণী-ওয়ারোরা হাইওয়েতে এই বাঁশের বেড়া ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গড়করী।
This Bamboo Crash Barrier, which has been christened Bahu Balli, underwent rigorous testing at various government-run institutions, such as the National Automotive Test Tracks (NATRAX) in Pithampur, Indore, and was rated as Class 1... pic.twitter.com/fe52oU1rLz
— Nitin Gadkari (@nitin_gadkari) March 4, 2023
নতুন এই বাঁশের বেড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাহু বল্লি’। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার পরিচালিত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এই বেড়ার পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের ন্যাশনাল অটোমোটিভ টেস্ট ট্র্যাকস (ন্যাটট্র্যাক্স), রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)। একাধিক এবং অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষার পর তবেই এই ‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’-এর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গডকরী। পরিবেশবান্ধব তো বটেই, তা ছাড়া এই বেড়ার পুনর্ব্যবহারযোগ্য মূল্য ৫০-৭০ শতাংশ। সেখানে ইস্পাতের বেড়ার পুনর্ব্যবহারযোগ্য মূল্য ৩০-৫০ শতাংশ।
এক বিশেষ ধরনের বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে এই বেড়া তৈরিতে। সেই বিশেষ প্রজাতির বাঁশ হল ‘বাম্বুসা বালকোয়া’। এই বাঁশের উপর ক্রিয়োসোট তেল এবং উচ্চ ঘনত্বের পলি ইথিলিনের (হাই-ডেনসিটি পলি ইথিলিন) প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।