Badlapur Sexual Assault Case

পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুললেন বদলাপুর-কাণ্ডে নিহত অভিযুক্তের মা

সোমবার জেল থেকে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, মাঝরাস্তায় মুম্বরা বাইপাসের কাছে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি চালান তিনি। পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১১
Badlapur case accused\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s mother says son killed as part of big conspiracy

নিহত অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডে। ছবি: সংগৃহীত।

পুলিশের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশের পাল্টা গুলিতে প্রাণ হারান বদলাপুরের যৌন হেনস্থা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডে। তবে পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ তাঁর মা। অক্ষয়ের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সেই ষড়যন্ত্রের কারণে অক্ষয়কে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় তালোজা জেল থেকে অক্ষয়কে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য গিয়েছিল পুলিশ। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দায়ের করা এক পৃথক মামলায় তাঁকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছিল তারা। জেল থেকে ফেরার পথে মুম্বরা বাইপাসের কাছে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের পিস্তল কেড়ে নিয়েছিলেন অক্ষয়, এমনই অভিযোগ। তার পরই ওই কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় অক্ষয়ের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান অক্ষয়ের মা।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষয়ের মা বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে হত্যা করা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পুলিশই আমার ছেলেকে খুন করেছে।’’ ছেলের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছেন তাঁর মা। দাবি, যত ক্ষণ পর্যন্ত না এই খুনের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ দেহ নেবেন না। অক্ষয়ের মায়ের দাবি, জেলের মধ্যে পুলিশ তাঁর ছেলেকে অত্যাচার করত। মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। অক্ষয়ের মায়ের প্রশ্ন, তাঁর ছেলে বাজি ফাটলে রাস্তায় বার হতে ভয় পেত, সে কী ভাবে পুলিশের বন্দুক কেড়ে গুলি চালাবে? পুলিশ মিথ্যে দাবি করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অগস্ট বদলাপুরের এক স্কুলে নার্সারির দুই পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তিন দিন পর, ১৬ অগস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকেরা। তদন্তের স্বার্থে গড়া হয় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ওই ঘটনায় ১৭ তারিখে অক্ষয়কে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বদলাপুর। বদলাপুর রেলস্টেশন অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় উন্মত্ত জনতা। নড়েচড়ে বসে মহারাষ্ট্র সরকারও। সোমবার মূল অভিযুক্তের মৃত্যু ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিল।

আরও পড়ুন
Advertisement