বিধায়ক কেনার অভিযোগে ধৃতদের সঙ্গে বিজেপি নেতার ছবি প্রকাশ করল টিআরএস। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
তেলঙ্গানায় বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গড়ার চেষ্টা শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলল সে রাজ্যের শাসকদল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)। তেলঙ্গানার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সরাসরি বিধায়ক কেনার ‘তৎপরতায়’ জড়িত বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ তুলেছে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল।
বিধায়ক কেনার চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার এক ব্যক্তির সঙ্গে কিষাণের ছবি প্রকাশ করেছে টিআরএস। পাশাপাশি, চন্দ্রশেখরের দল ধৃত এক সন্তের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও ‘ফাঁস’ করেছে। যদিও বিজেপির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে পুরো বিষয়টিকে ‘টিআরএসের নাটক’ বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টিআরএসের ৪ জন বিধায়ককে ৫০ থেকে ১০০ কোটি করে টাকা দিয়ে কেনার টোপ দেওয়ার অভিযোগে বুধবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করে হায়দরাবাদ পুলিশ। রাজধানী শহরের পুলিশ প্রধান স্টিফেন রবীন্দ্র জানান, মইনাবাদের আজিজনগর এলাকার একটি খামারবাড়ি থেকে ধৃত ওই ব্যক্তিরা হলেন, হরিয়ানার সতীশ শর্মা ওরফে রামচন্দ্র ভারতী, অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির সন্ত সিংহজি এবং তাঁর ভক্ত তথা হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী নন্দকুমার।
This is a conspiracy against KCR ji's Government by BJP's big leaders 👇🏾#TelanganaNotForSale pic.twitter.com/8x9tPn1TM9
— krishanKTRS (@krishanKTRS) October 26, 2022
ওই খামারবাড়ি থেকে ১৫ কোটি টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ। আগামী ২ নভেম্বর তেলঙ্গানায় একটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। তার আগে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। টিআরএসের মিডিয়া সেলের প্রধান এম কৃষঙ্ক টুইটারে ধৃতদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন— ‘এটাই বিজেপির চরিত্র’! যদিও তেলঙ্গানা বিজেপির সভাপতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারি বাংলোর গত ৩ দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে, কারা চক্রান্ত করেছে।’’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’-এর মাধ্যমে বিধায়ক ভাঙিয়ে কর্নাটকে এইচডি কুমারস্বামী, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরেকে গদিচ্যুত করেছে। ঝাড়খণ্ডেও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সরকারের পতন ঘটাতে বিপুল টাকা দিয়ে পদ্ম-শিবির বিধায়ক কেনার ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। গত ৩০ জুলাই রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডগামী একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। সঙ্গে ছিল সোনাদানাও। ওই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কও। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তড়িঘড়ি বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব পাশ করান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। এ বার সেই পথে চন্দ্রশেখরও হাঁটতে পারেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত।