মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলের এক কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানায়। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নারায়ণপেট জেলা কংগ্রেসের সভাপতি কে শিবকুমার রেড্ডি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২০ সালে পুরসভা নির্বাচনে প্রচার ও সমন্বয়ের জন্য নারায়ণপেট এলাকায় ওই মহিলাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেখানকার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার পরই শিবকুমারের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। অভিযোগ, প্রথম থেকেই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেন শিবকুমার। কিছু দিন পর ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।
অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা দাবি করেছেন যে, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর শিবকুমারের বর্তমান বৈবাহিক জীবন নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। সে সময় অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। বেশি দিন বাঁচবেন না। তাই তাঁর দেখভালের জন্য এক জন মহিলাকে প্রয়োজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দলের কাজে দুব্বাকা জেলায় থাকার সময় মত্ত অবস্থায় মহিলার ঘরে ঢোকেন শিবকুমার। সে সময় জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন ওই কংগ্রেস নেতা। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মহিলাকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্মীয় রীতি মেনে মহিলার হাতে হলুদ রঙের সুতো বেঁধে শিবকুমার বোঝাতে চান যে, তাঁরা বিবাহিত। সেই সঙ্গে মহিলার আস্থা অর্জনেরও চেষ্টা করেন।
এই ঘটনার পর দলের কাজের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে একটি নামী হোটেলে ওই মহিলাকে ডেকে পাঠান কংগ্রেস নেতা। অভিযোগ, হোটেলে যাওয়ার পর মহিলাকে পানীয়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এর পর অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা। কিছু ক্ষণ পর মহিলার জ্ঞান ফিরলে তাঁকে রীতিমতো শাসান শিবকুমার। অভিযোগ, মহিলার ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করার হুমকি দেন ওই কংগ্রেস নেতা।
ভয় না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৭৬, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনও অধরা ওই অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।