গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের লাড্ডু-বিতর্কে এ বার গুজরাতের আমূল। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশ্বখ্যাত ওই মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগে তাঁদের সংস্থার বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চলছে বলে অভিযোগ তুলল গুজরাতের বৃহত্তম সমবায় সংস্থাটি।
আমূল ডেয়ারির তরফে কয়েক জন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হেমন্ত গাউনি। তিনি জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডলে কয়েকটি পোস্টে দেখেন, বেশ কয়েক জন ব্যবহারকারী লিখছেন যে তিরুপতি মন্দিরে পশুর চর্বি মেশানো ঘি সরবরাহ করত আমূল। সেই ঘি দিয়েই তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু তৈরি হত। হেমন্ত বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সবৈব মিথ্যা। আমরা তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহ করি না।’’
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু বৃহস্পতিবার গুজরাতের একটি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট তুলে ধরে অভিযোগ করেছিলেন, তিরুপতি শহরের বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত বিশেষ ‘শ্রীভরি লাড্ডু’তে পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির জমানায় পশুর চর্বি মেশানো ঘি ব্যবহার করা হত। এর পর জগন্মোহনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ সুব্বা রেড্ডি চর্বি মেশানোর অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘চন্দ্রবাবু নোংরা রাজনীতি করছেন। তিনি ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর কোটি কোটি ভক্তের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছেন।’’
কিন্তু বিতর্ক তাতে থামেনি। বিশ্বের নানা প্রান্তে ভক্তদের কাছে প্রসাদী লাড্ডু পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন তিরুপতি মন্দিরের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’ (টিটিডি) কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও ‘বিশেষ প্রসাদ’ হিসাবে আনা হয়েছিল তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু। আমদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ আমূল কর্তা গাউনি দাবি জানিয়েছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট এক্স হ্যান্ডলে তিরুপতি মন্দিরের পাশাপাশি তাঁদের সংস্থার ‘ছবি এবং লোগো’ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পোস্ট করা হয়েছে।