কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
আংশিক প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরেই কর্নাটকে প্রকাশ্যে এল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। টিকিট না পেয়ে বুধবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাদাভি। অন্য দিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার যান বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে, টিকিটের আবেদন জানাতে।
মঙ্গলবার কর্নাটকে বিধানসভা ২২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৮৯টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। তার মধ্যে নতুন মুখের সংখ্যা ৫২। অন্য দিকে, ছাঁটাই করা হয়েছে বেশ কয়েক জন বিদায়ী বিধায়ককে! অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং জেডি(এস) ছেড়ে আসা প্রায় এক ডজন বিধায়ক পদ্ম-চিহ্ন পেয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের খবরও এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্নাটক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে দলের একটি সূত্রের খবর।
বেলগাম জেলার নেতা লক্ষ্মণের আতমি কেন্দ্রে নয়া প্রার্থী ঘোষণার পরেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। একই ভাবে নতুন প্রার্থী মানতে না পেরে দক্ষিণ কন্নড় জেলার প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা ৬ বারের বিধায়ক এস অঙ্গারা সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেন। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম নেই বিজেপির আংশিক তালিকায়। মঙ্গলবার জগদীশ বলেছিলেন, ‘‘দল টিকিট না দিলেও আমি ভোটে লড়বই।’’
আগামী ১০ মে এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে ফল ঘোষণা। গত ২৯ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তার ৩ দিন আগেই প্রথম দফায় সে রাজ্যের ১২৪টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। পরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৪১ আসনে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার)-ও ইতিমধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সে রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের এত সময় লাগল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ দাবি করেছিলেন। প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পরে সেই দাবি কার্যত মিলে গিয়েছে।