Manipur Violence

অশান্ত মণিপুরে এ বার আক্রান্ত বিজেপি দফতর! ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ঘিরে ফের উত্তেজনা

গোষ্ঠীহিংসার কারণেই নিরপরাধ দুই মেইতেই ছাত্রছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুকি দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে রাজধানী ইম্ফল-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছে মেইতেই সংগঠনগুলি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৩৭
An image of Manipur

ক্রমশই নতুন করে অশান্ত হচ্ছে মণিপুর। ছবি: সংগৃহীত।

দুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনার জেরে ক্রমশই নতুন করে অশান্ত হচ্ছে মণিপুর। বুধবার সন্ধ্যায় সেই অশান্তির পরিণতিতেই হামলা হল পাহাড়ি জেলা থৌবলের বিজেপি দফতর। সেখানে অবাধে ভাঙচুর চালানোর পরে আগুন ধরায় উত্তেজিত জনতা। জেলা বিজেপির দফতরে রাখা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

গোষ্ঠীহিংসার কারণেই নিরপরাধ দুই মেইতেই ছাত্রছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুকি দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে রাজধানী ইম্ফল-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছে মেইতেই সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে মণিপুরের বিজেপি সরকার মঙ্গলবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে, কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে আগামী ছ’মাসের জন্য বলবৎ থাকবে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে মেইতেই প্রভাবিত ইম্ফলের ১৯টি থানাকে।

উত্তেজনার এই আবহে বুধবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমেরিকায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বাইরে থেকে আসা কিছু ব্যক্তি মণিপুরে হিংসা ছড়াচ্ছে।’’ অভিযোগ এ ক্ষেত্রে তিনি কুকিদের নিশানা করতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে গত ছ’মাসে প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

আরও পড়ুন
Advertisement