মণিপুরের প্রতিবাদ সভা। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে হিংসার আবহেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিল মেইতেই জনগোষ্ঠীর নাগরিক সংগঠনগুলি যৌথমঞ্চ ‘কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টিগ্রিটি’ বা ‘কোকোমি’। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিংসার অবসানের দাবি জানানোর পাশাপাশি, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁদের অভিযোগ, পাহাড়ি এলাকায় কুকি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে আফিম চাষ হচ্ছে মায়ানমার থেকে আসা কুকি জঙ্গিদের মদতে।
গত ২৯ জুলাই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের ‘থাও গ্রাউন্ডে’ কোকোমির সভায় হিংসার অবসান এবং মাদক কারবারের বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল তা সোমবার স্মারকলিপি আকারে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কুকি বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই এই মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে আগেই অভিযোগ তুলেছে মেইতেইরা। কোকোমি-র মতে, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘যুদ্ধে’ পকেটে টান পড়েছে কুকি জঙ্গিদের, তাই এই লড়াই। কুকি পড়ুয়াদের সংগঠন ‘কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন’-এর পাল্টা প্রশ্ন, এ ভাবে একা গোটা সম্প্রদায়কে মাদক কারবারি বলে দাগিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?
মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য সোমবার একটি কমিটি গড়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের গড়া ওই কমিটিতে রয়েছেন হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতি।
জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) শালিনী পি জোশী এবং বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) আশা মেনন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ তদারকির পাশাপাশি, মণিপুর পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত ‘সিট’ হিংসাপর্বের যে ফৌজদারি মামলাগুলির তদন্ত করছে, তা তদারকি করবে ওই কমিটি।