ফাইল চিত্র।
তিনটি টিকা পেল দেশ। শুক্রবার রাশিয়ার তৈরি টিকা স্পুটনিক ভি-এর প্রথম টিকা দেওয়া হল ভারতে। কিন্তু বাকি টিকাগুলি কী অবস্থায়? বৃহস্পতিবারই কেন্দ্র বলেছিল, চলতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সব মিলিয়ে ৮টি টিকা পাওয়া যাবে দেশে। কম করেও ২০০ কোটি টিকা হাতে আসবে ভারতের। সেগুলি পাওয়া গেলে দেশবাসী দেখে শুনে বেছে নিতে পারবেন করোনার টিকা।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সদস্য ভি কে পাল বলেন, ‘‘অগস্ট থেকে ডিসেম্বর আগামী ৫ মাসে দেশে ২০০ কোটির বেশি টিকা আসতে চলেছে। খুব শীঘ্রই দেশের সকলে টিকা পাবেন।’’ পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়, চলতি বছরে কোভিশিল্ডের ৭৫ কোটি এবং কোভ্যাক্সিনের ৫৫ কোটি টিকা ভারতের হাতে আসবে। এ ছাড়া বাকি ৬টি টিকা মিলিয়ে মোট ২১৬ কোটি টিকা কেন্দ্রের হাতে আসবে বলেও জানায় তারা। শুক্রবার এর মধ্যে তিন নম্বর টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই রাশিয়ার তৈরি টিকা স্পুটনিক-ভি ভারতের বাজারে পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু বাকি পাঁচটি টিকার ভবিষ্যৎ কী? জেনে নেওয়া যাক।
সেরামের নোভাভ্যাক্স
এদের ২০ কোটি টিকা পাওয়ার কথা ভারতের। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটই তৈরি করবে এই টিকা। বাজারে আসবে কোভোভ্যাক্স নামে। এই টিকার কার্যকারিতা ৯৬.৪ শতাংশ। ভারতে এই মুহূর্তে এই টিকার তিন দফার মধ্যে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তবে মূল উপাদানের অভাবে এই টিকা বাজারে আনার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেপ্টেম্বরে।
ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল টিকা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত বায়োটেকের ১০ কোটি ন্যাজাল ভ্যাক্সিন উৎপাদন করা যাবে। এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অন্য টিকাগুলির থেকে অনেকটাই কম বলে দাবি ভারত বায়োটেকের। তাই শিশুদের জন্যও এই টিকা উপযোগী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আপাতত ন্যাজাল ভ্যাক্সিনের প্রথম দফার পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বায়ো ই সাব ইউনিট টিকা
হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বায়োলজিকাল ই লিমিটেডের টিকা। ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রকে ৩০ কোটি টিকা সরবরাহ করার কথা তাদের এই টিকারও তিন দফা পরীক্ষার মধ্যে দ্বিতীয়টি সম্পন্ন হয়েছে। তবে তৃতীয় পরীক্ষার অনুমোদন ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে সংস্থাটি। এই টিকার দাম দেশের নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্তদের নাগালে থাকবে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ টিকা
তৃতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ এই টিকার। বাকি শুধু তথ্য দেওয়া। অনুমোদন পেলে এটিই হবে ভারতের দ্বিতীয় মৌলিক ভাবে তৈরি টিকা। ডিসেম্বরের মধ্যে এদের ৫ কোটি টিকা পাওয়া যাবে ভারতে।
জেনোভা এম আরএনএ
ভারতের প্রথম এমআরএনএ টিকা। যা তৈরি করছে পুণের সংস্থা জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস। তবে এখনও মানবদেহে ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়নি এই টিকার। খুব শীঘ্রই প্রথম দফার ট্রায়াল শুরু হবে। তার দু’মাসের মধ্যে হওয়ার কথা দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল। ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা দেওয়ার কথা এই সংস্থার।
ফাইজার মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসন
এই টিকা গুলি ছাড়াও থাকছে ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। এ বছরের মধ্যেই এই তিন টিকাও হাতে পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।