Anti BJP Alliance

‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’, কংগ্রেসের সুরে বিরোধী বৈঠক নিয়ে মমতার দলের ‘বার্তা’ শরদকে

এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপালের টুইটারে রিটুইট করে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানালেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির মোকাবিলা করবে বিরোধী শিবির।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৮
‘All for one, one for all’, TMC says after Congress on next opposition meeting in Bengaluru amid Maharashtra crisis

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শরদ পওয়ার। ফাইল চিত্র।

এনসিপির অন্দরে বিদ্রোহের পরে রবিবার শরদ পওয়ারকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপালের টুইটারে রিটুইট করে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানালেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির মোকাবিলা করবে বিরোধী শিবির। বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী বৈঠকই এখন তাঁদের লক্ষ্য বলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন ডেরেক।

বেনুগোপাল সোমবার টুইটারে লেখেন ‘বেঙ্গালুরু শীর্ষবৈঠক। প্রত্যেকের জন্য সকলে, সকলের জন্য প্রত্যেকে (‘অল ফর ওয়ান, ওয়ান ফর অল’)। সেই বার্তা রিটুইট করে ডেরেক লিখেছেন, ‘‘পটনায় সব বিরোধীদের সফল বৈঠকের পরে এ বার আমরা ২০২৩-এর ১৭ এবং ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে পরবর্তী বৈঠক করব। ফ্যাসিবাদী এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাজিত করা এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সাহসী পদক্ষেপের জন্য আমরা সংকল্পে অটল রয়েছি।’’

Advertisement

সোমবার বেনুগোপাল বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে স্থির হয়েছে, আগামী ১৭-১৮ তারিখে বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী দলগুলির পরবর্তী বৈঠক হবে।’’ গত ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পটনার বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠকের পর জানানো হয়েছিল শিমলায় পরবর্তী বৈঠক হবে। পরে কংগ্রেস নেতৃত্বের ‘আগ্রহেই’ কর্নাটকে ওই বৈঠক হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহে শরদ পওয়ারই প্রথম জানিয়েছিলেন, শিমলার পরিবর্তে বিরোধী জোটের বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে।

প্রসঙ্গত, কাকা শরদের নির্দেশ অমান্য করে রবিবার মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনার সরকারে শামিল হয়েছে ‘বিদ্রোহী’ ভাইপো অজিত। সোমবার, শরদের ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত পাতিলকে এমসিপির মহারাষ্ট্র রাজ্য শাখার সভাপতি পদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করে দলের দখল নিতেও তৎপর হয়েছে বিদ্রোহী শিবির। এই পরিস্থিতিতে পটনা বৈঠকের পরে বিরোধী শিবিরে তৈরি হওয়া আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement