গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার শাহি ইদগাহ নিয়ে হিন্দুপক্ষের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে রফাসূত্রের সন্ধান দিল রাজস্থানের অজমের শরিফ। অজমেরের খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগার ‘দিওয়ান’ সৈয়দ জয়নুল আবেদিন।
শুক্রবার অজমের শরিফের প্রধান বলেন, ‘‘আদালতের বাইরে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কের সমাধান করা উচিত। পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হবে।’’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টে জ্ঞানবাপী এবং মথুরা সক্রান্ত একাধিক মামলা বিচারাধীন। হিন্দুপক্ষের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী আদতে প্রাচীন শিবমন্দির। সেখানকার ওজুখানায় রয়েছে ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ’। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি জ্ঞানবাপীর অন্দরের একাংশে পূজার্চনাও শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, মথুরার শাহি ইদগাহ আসনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান বলেও দাবি। হিন্দুদের ওই দু’টি ধর্মস্থান মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেবের আমলে ধ্বংস করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এই আবহে জয়নুলের প্রস্তাব মেনে আদালতের বাইরে সমঝোতার ‘পথ’ খুলব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। অতীতে অযোধ্যার রামজন্মভূমি বিতর্কের সমাধানে এমন প্রচেষ্টা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রসঙ্গত, মুঘল আমল থেকেই অজমের দরগার দিওয়ানের পদটি মইনুদ্দিন চিস্তির পরিবারের সদস্যরা বংশানুক্রমে পেয়ে থাকেন। দিওয়ান সরাসরি দরগার পরিচালন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। কিন্তু মুসলিম সমাজে তাঁর প্রভাব রয়েছে।