Lok Sabha Election 2024

ভাইপো অজিতের হাতে ‘এনসিপি’ নাম এবং ‘ঘড়ি’, কাকা শরদকে কমিশন দিল নতুন নির্বাচনী প্রতীক

গত ৬ ফেব্রুয়ারি শরদের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘আসলএনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০৯

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার)-কে নতুন নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করল নির্বাচন কমিশন। জানাল আগামী নির্বাচনে ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’ প্রতীক নিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার গোষ্ঠী।

Advertisement

গত ৬ ফেব্রুয়ারি শরদের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘আসলএনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জানিয়েছিল, ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার পাবে অজিতের গোষ্ঠী। শরদের গোষ্ঠীর জন্য নতুন নাম এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) বরাদ্দ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে শরদ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অজিত পওয়ারের গোষ্ঠীর হাতেই থাকবে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শরদ গোষ্ঠীর জন্য নতুন প্রতীক ধার্য করেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুলাই অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান। শেষ পর্যন্ত কমিশনের নির্দেশে দলের নিয়ন্ত্রণ গিয়েছে তাঁর হাতেই।

কমিশনের ওই রায়ের পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরভেকর অজিত গোষ্ঠীকে ‘এনসিপি পরিষদীয় দল’ হিসাবে মর্যাদা দেন। তবে তিনি জানান, শরদ অনুগত বিধায়কদের পদ খারিজ করা হবে না। কিন্তু স্পিকারের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টে পৃথক আবেদন দায়ের করেছে অজিত শিবির।

Advertisement
আরও পড়ুন