Champai Soren

‘জেএমএমের নেতৃত্বের কাজে আমি অপমানিত’, গুরুজিকে চিঠি লিখে দল ছাড়লেন চম্পই সোরেন

শিবুকে চিঠিতে চম্পই লিখেছেন, ‘‘আজ আমি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাথমিক সদস্যপদ এবং সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী, দলিত, অনগ্রসর এবং সাধারণ মানুষের ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যাব।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ২২:১০
চম্পই সোরেন।

চম্পই সোরেন। ছবি: পিটিআই।

অবশেষে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ছাড়লেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তার আগে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভা এবং জেএমএম বিধায়কের পদ থেকে। একই সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনকে (ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে যিনি গুরুজি নামে পরিচিত) চিঠি লিখে ক্ষোভের কথা জানালেন তিনি।

Advertisement

শিবুকে চিঠিতে চম্পই লিখেছেন, ‘‘আজ আমি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাথমিক সদস্যপদ এবং সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী, দলিত, অনগ্রসর এবং সাধারণ মানুষের ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যাব।’’ শিবু-পুত্র হেমন্তের নেতৃত্বে জেএমএম যে ভাবে চলছে, তাতে তাঁর মতো পুরনো সৈনিকেরা অপমানিত বলেও অভিযোগ করেছেন চম্পই। সূত্রের খবর, শুক্রবার (৩০ অগস্ট) রাঁচীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি।

সিংভূম তথা ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে ‘টাইগার’ নামেই অধিক পরিচিত চম্পই। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দীর্ঘ দিনের সৈনিক তিনি। হেমন্তের পিতা শিবুকে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে মানেন। চলতি বছরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। তার আগে চম্পইয়ের যোগদান পদ্ম-শিবিরকে শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। বুধবার চম্পই সরাসরি জেএমএম নেতৃত্বকে ‘দিশাহীন’ বলেছেন।

গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব। পাঁচ মাস রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে জামিনে হেমন্ত মুক্তি পান। তার পরেই চম্পইকে সরিয়ে জেএমএমের পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হন তিনি। ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। সেই সময় চম্পইয়ের উপর চাপ তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য করানো হয়েছিল বলে তাঁর অনুগামীদের অভিযোগ। ৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে নয়া মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পইকে ঠাঁই দিয়েছিলেন হেমন্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement