ওম বিড়লা। — ফাইল চিত্র।
লোকসভার পাটিগণিত বলছে বুধবার বেলা ১১টায় স্পিকার পদে ভোটাভুটিতে তাঁর জয় নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে স্পিকার পদে পুনর্নির্বাচিত হয়ে প্রয়াত বলরাম ঝাখরের নজির স্পর্শ করবেন ওম বিড়লা। ঘটনাচক্রে, ওই পদে বসলে ঝাখরের মতোই ওমও হবেন রাজস্থান থেকে নির্বাচিত সাংসদ, যিনি উপর্যুপরি দ্বিতীয় বার স্পিকার পদে আসীন হলেন।
ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় দু’দফায় (১৯৮০-৮৫ এবং ১৯৮৫-৯০) লোকসভার পূর্ণ মেয়াদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন ঝাখর। পঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর ওই কংগ্রেস নেতা ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন পঞ্জাবের ফিরোজপুর থেকে। ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানে সীকর থেকে। অন্য দিকে, ওম ২০১৪ থেকে টানা তিন বার রাজস্থানের কোটা লোকসভা থেকে নির্বাচিত সাংসদ।
লোকসভার প্রথম স্পিকার জিভি মভলঙ্কার মেয়াদ শেষের আগেই প্রয়াত হওয়ার পরে এমএ আয়েঙ্গার ১৯৫৬ সালে প্রথম লোকসভার শেষ এক বছর স্পিকারের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ১৯৫৭-য় দ্বিতীয় লোকসভায় স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি ১৯৬৭-৬৯ সালে আড়াই বছর এবং ১৯৭৭ সালে মাত্র ১০৯ দিন ছিলেন স্পিকারের চেয়ারে। ১৯৬৯ সালে রেড্ডির ইস্তফার পরে চতুর্থ লোকসভার বাকি দেড় বছরের জন্য স্পিকারের দায়িত্ব সামলেছিলেন গুরদয়াল সিংহ ধীলোঁ। পরবর্তী পঞ্চম লোকসভাতেও সাড়ে চার বছর ওই আসনে ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবারই এনডিএ-র বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওমকে স্পিকার পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে সম্ভবত লোকসভার ঐতিহ্য মেনে সর্বসম্মতিতে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না তাঁর। বিরোধী জোটের তরফে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশকে স্পিকার নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন। বিজেপি-সহ এনডিএ শিবিরে রয়েছেন ২৯৩ জন। ফলে অঙ্কের হিসাবে ওমের জয় নিশ্চিত।