Python

অ-এ অজগর দাদা, আকারে ‘অ্যানাকোন্ডার থেকেও বড়’, তবু ভয় নয় ভক্তি করেন মানুষ

মধ্য় প্রদেশের একটি মন্দিরে বহু বছর ধরে রয়েছে ওই সাপ, স্থানীয়রা ভালবেসে তাঁকে ডাকে ‘অজগর দাদা’ বলে। তার উপস্থিতিতেই মন্দিরে চলে নিত্যপুজো।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০১:১০
বাঘরাজ মন্দিরের সেই অজগর সাপ।

বাঘরাজ মন্দিরের সেই অজগর সাপ। ছবি সংগৃহীত।

নামেই অজগর, কিন্তু তেড়ে সে আসে না! বরং চুপটি করে বসে থাকে মন্দিরের বিগ্রহের পাশটিতে। ভক্তরা যখন পুজো দেন কিংবা পুরোহিত এসে ফুল, মালা সাজিয়ে মন্ত্র পড়েন তখনও সে নির্বিকার। ডাকলে সাড়া দেয়। চলে যেতে বললে চলে যায় মুখ ফিরিয়ে। ভক্তরা তাই মন্ত্র পড়ে পুজো করে তাকে। তাদের স্থির বিশ্বাস, কোনও অভিশপ্ত ঋষি বা মুনি আজগর বেশে বাস করছে মন্দিরে। পাহারা দিচ্ছে বিগ্রহকে।

মধ্যপ্রদেশের মফস্বল শহর সাগরের বাঘরাজ মন্দিরে এক অজগর সাপ না কি বাস করছে বছরের পর বছর ধরে। যা আকারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের প্রজাতি অ্যানাকোন্ডার থেকেও বড় বলে দাবি স্থানীয়দের। কেন না অ্যানাকোন্ডার দৈর্ঘ্য খুব ৩০ফুট পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু মধ্য প্রদেশের বাঘরাজ মন্দিরের ভক্তদের দাবি এই অজগরের দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট না হয়ে যায় না।

Advertisement

অজগর সাপটিকে ‘অজগর দাদা’ বলে ডাকেন বাঘরাজ মন্দিরের পুরোহিত পুষ্পেন্দ্র মহারাজ এব‌ং ভক্তরা। মন্দিরটি হারসিধি মাতার উপাসনার। গুহার ভিতরেই মন্দির। অজগরটিরও বাস সেখানেই। যদিও এলাকার প্রবীণদের দাবি, অজগর সাপটির সম্পূর্ন চেহারা আজ পর্যন্ত দেখেনি কেউ। সে তার ইচ্ছে মত গুহার মুখে হাজির হয় কখনও সখনও, আবার সেখান থেকেই ফিরেও যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন আজ পর্যন্ত কখনও কারও অনিষ্ট করতে বা কাউকে আক্রমন করতে দেখা যায়নি সাপটিকে। কখনও সখনও পুজো চলাকালীন সে বেরিয়ে এলে তাকে দেখে মন্ত্র পড়েন ভক্তরা। হাতের ইশারায় চলে যেতে বললে চলেও যায়।

তবে স্থানীয়রা অজগর দাদাকে অ্যানাকোন্ডার থেকে বড় বলে দাবি করলেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অ্যানাকোন্ডা প্রজাতির সবচেয়ে বড় সাপ বলা হয় গ্রিন অ্যানাকোন্ডাকে। তার দৈর্ঘ্য ৩০ফুট এবং ওজন ২২৭ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement