অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে ২০১৯ সালে ৩০০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। ফাইল চিত্র।
ভিভিআইপিদের ব্যবহারের জন্য হেলিকপ্টার কিনতে সক্রিয়তা শুরু করল কেন্দ্র। ইউপিএ জমানায় অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চপার চুক্তিতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার প্রায় এক দশক পরে!
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুর নীলগিরি পর্বতমালায় সামরিক পরিবহণ কপ্টার এমআই-১৭ ভি-৫ ভেঙে সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়তের মৃত্যুর পর থেকেই ভিভিআইপিদের ব্যবহারের জন্য একটি ‘নিরাপদ’ চপারের খোঁজ শুরু করেছিল বায়ুসেনা। বিভিন্ন স্তরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সম্প্রতি ভিভিআইপি কপ্টারের গুণমান সংক্রান্ত মাপকাঠি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নির্ধারিত সেই মানের কপ্টারের মডেল এবং নির্মাণকারী সংস্থার নাম নিয়েও বিবেচনা করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ৮০টি এমআই-১৭ ভি-৫ হেলিকপ্টার কেনার জন্য রাশিয়ার সংস্থা রোসোবোরোনেক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করেছিল কেন্দ্র। ওই কপ্টারগুলিই মূলত ভিভিআইপিরা ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেগুলি ‘নিরাপদ’ নয় বলে অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার।
প্রসঙ্গত, মনমোহন সিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ইতালির ফিনমেকানিকা সংস্থার কাছ থেকে ১২টি অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড এডব্লিউ-১০১ ভিভিআইপি কপ্টার কেনার চুক্তি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চুক্তি বাতিল হয়। পরে ইতালির একটি আদালত ৩,৭০০ কোটি টাকার ওই চুক্তিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বলে জানায়। এর পর কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ঘটনার তদন্তে নেমে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে চার্জশিট পেশ করে। সে মামলা এখনও বিচারাধীন।