Kerala

মস্তিষ্কে বিরল সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ কেরলের কিশোর, সারা বিশ্বে এই রোগে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র ১১ জন!

কেরলের স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রোগ যাতে দ্রুত ধরা পড়ে, তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১০:৪৭
A 14 years old teen recovers from rare brain disease that has 97 percent mortality rate

মস্তিষ্কে বিরল সংক্রমণ থেকে সুস্থ কিশোর। —প্রতীকী চিত্র।

অ্যামোবিক মেনিঙ্গোএনসেফালাইটিস। মস্তিষ্কের বিরল সংক্রমণ। এক বারে সংক্রমিত হলে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই সংক্রমণে মৃত্যুর হার ৯৭ শতাংশ। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ১১ জন এই রোগ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন। সেই বিরল জটিল রোগ থেকেই সুস্থ হয়ে উঠল কেরলের কোঝিকোড়ের বছর চোদ্দোর এক কিশোর।

Advertisement

অসুস্থ ওই কিশোরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কোঝিকোড়ের মেলাডি গ্রামের এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই ওই কিশোরের শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। অসুস্থতার উপসর্গগুলির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানান তাঁরা। সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য দফতরে। সে দিনই আবার ওই কিশোরের মৃগী দেখা দেয়। ফলে দেরি না করে পরিবারের লোকেরা ১ জুলাই কোঝিকোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান।

কিশোরের শারীরিক পরিস্থিতির দিকে অবিরাম নজর রাখছিল সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তার চিকিৎসার জন্য মিলটেফোসিন নামে একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য দফতর। চিকিৎসা শুরুর তিন সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠে কিশোর। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক পর্যায়েই সংক্রমণ ধরা পড়ে যাওয়া এবং নিবিড় চিকিৎসার ফলেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ওই কিশোর।

উল্লেখ্য, গত তিন মাসে এই রোগে কেরলে তিন শিশু আক্রান্ত হয়েছিল। তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছিল। অ্যামোবিক মেনিঙ্গোএনসেফালাইটিস হল এক প্রকার জলবাহিত সংক্রমণ। দূষিত জলের মধ্যে জীবন্ত অ্যামিবা থেকেই এই সংক্রমণ ছড়ায়। কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই রোগ যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই দ্রুত ধরা পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এর জন্য ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড ভাইরোলজির সহযোগিতা নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement