Chhatrapati Shivaji Maharaj International Airport

হুইলচেয়ারের ঘাটতি, হাঁটাচলার ফলে মুম্বই বিমানবন্দরে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

সোমবার এয়ার ইন্ডিয়া এআই-১১৬ বিমানে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন তিনি। বিমান বুকিংয়ের সময় নিজের এবং স্ত্রীর জন্য দু’টি হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৬
মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। —ফাইল চিত্র।

নিউ ইয়র্ক থেকে স্ত্রীর সঙ্গে ভারত এসেছিলেন আশি বছরের এক বৃদ্ধ। দু’জনের জন্যই আগে থেকে বিমান সংস্থার কাছে হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিমান অবতরণের পর হুইলচেয়ারের ঘাটতি থাকায় হেঁটেই অভিবাসনের দফতরে যেতে হয় তাঁকে। দফতরের দিকে হেঁটে যাওয়ার পথেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। সোমবার ঘটনাটি মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃদ্ধ আমেরিকার নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার এয়ার ইন্ডিয়া এআই-১১৬ বিমানে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন তিনি। বিমান বুকিংয়ের সময় নিজের এবং স্ত্রীর জন্য দু’টি হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুম্বইয়ে পৌঁছনোর কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু বিমান অবতরণে প্রায় দু’ঘণ্টা দেরি হয়। সোমবার দুপুর ২টো ১০ মিনিটে মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই বিমানের মোট ৩২ জন যাত্রী হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন। বিমান অবতরণের সময় ঘাটতি পড়ে হুইলচেয়ারের। ১৫টি হুইলচেয়ার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিমানকর্মীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে বাকি হুইলচেয়ারের আয়োজনও করে ফেলতেন কর্মীরা। এমনটাই দাবি বিমান কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানান, হুইলচেয়ার কম থাকায় স্ত্রীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই বৃদ্ধ। বিমানবন্দরের ভিতর প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে যান তিনি। পথেই অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন তিনি। বিমানবন্দরের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিমান সংস্থার মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করি। কিন্তু অনেক সময় যাত্রীরা হুইলচেয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে চান না। পরিবারের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার ভয়ে হুইলচেয়ার ছাড়াই চলে যান। এই ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement