মণিপুরে এই অ্যাম্বুল্যান্স জ্বালিয়ে ৮ বছরের শিশু-সহ ৩ জনকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ফাইল চিত্র।
গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহত হয়েছিল ৮ বছরের শিশুটি। মাথা থেকে শুরু হয় অবিরাম রক্তপাত। তড়িঘড়ি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক শুশ্রুষার পরে সন্তানকে নিয়ে তার মা রওনা দিয়েছিলেন রাজধানী ইম্ফলের হাসপাতালের উদ্দেশে। সঙ্গে ছিলেন এক আত্মীয়া।
কিন্তু পথেই সেই অ্যাম্বুল্যান্স আটকাল দুষ্কৃতীরা। এর পর পুড়িয়ে মারা হল ৩ জনকে। দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুর এ বার দেখল এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ইম্ফল পশ্চিমের ইরোইসেম্বা এলাকায় গোষ্ঠীহিংসার বলি হল ৮ বছরের তোনসিং হ্যাসিং, তার মা মীনা এবং আত্মীয়া লিডিয়া। ঘটনাচক্রে, মেইতেই জনগোষ্ঠীর মীনার স্বামী জনজাতি কুকি গোষ্ঠীর। মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসাপর্বে যারা এখন যুযুধান দুই পক্ষ।
অসম রাইফেলসের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি তাদের প্রহরায় ছিল। কাংকোকপি জেলার সীমানাবর্তী ল্যাম্ফেল থানা এলাকায় মণিপুর পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্সটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। তখন গভীর রাত। ওই এলাকায় সম্প্রতি কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে উন্মত্ত জনতার সামনে পড়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তার পরেই ঘটে ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ড।