গাড়ির টায়ার থেকে টাকা উদ্ধার করছেন জওয়ানেরা। সঙ্গে রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় চোখ কপালে উঠল আয়কর দফতরের আধিকারিকদের! গাড়ির টায়ার খুলতেই বেরিয়ে এল লক্ষ লক্ষ টাকার বান্ডিল। কত টাকা রয়েছে, তা জানতে মেশিন আনতে হল আধিকারিকদের। এমনই কাণ্ডে শোরগোল পড়েছে ঝাড়খণ্ডে। সে রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছে। বাকি এখনও দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার দেওরি এলাকায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মী এবং আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। সীমানা পেরিয়ে বিহার থেকে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করার সময় একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় টাকা উদ্ধার হয়। গাড়ির ডিকিতে রাখা চাকার টায়ার খুলতেই বেরিয়ে আসে বান্ডিল বান্ডিল নোট।
এত টাকা গুনতে শেষ পর্যন্ত মেশিন আনাতে হয় আধিকারিকদের। কয়েক ঘণ্টা গোনার পর দেখা যায়, ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৫০ লক্ষ! এই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল— তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। অনুমান, ভোটের রাজ্যে টাকা বিলির জন্য নগদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তল্লাশির কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, আধিকারিকেরা একে এক টায়ারের মধ্যে থেকে নোটের বান্ডিল বার করছেন। গুনে দেখা যায়, মোট ১১টি টাকার বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে ওই গাড়ি থেকে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার লোকেরাই টাকা বিলি করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তাই এত টাকা আনা হচ্ছিল ভিন্রাজ্য থেকে। গোডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে টাকা উদ্ধারের ভিডিয়ো পোস্ট করে জেএমএম-কে নিশানা করেছেন।