Death

চার তলা থেকে ছিঁড়ে পড়ল লিফ্ট, সাত বছরের ছেলে বেঁচে গেলেও হেরে গেলেন বাবা

মৃতের নাম নবাব শাহ। পেশায় তিনি এক জন নির্মাণ ব্যবসায়ী। গত এক বছর ধরে কালিন্দীকুঞ্জের ওই আবাসনে সপরিবারে তিনি থাকেন। ছেলে ফারহান এখনও হাসপাতালে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৩৪
হাসপাতালেই মারা যান বাবা, সাত বছরের ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতালেই মারা যান বাবা, সাত বছরের ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। —ছবি প্রতীকী।

ছেলেকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন বাবা। আর যে ঘরে ফেরা হবে মা, ভাবতেই পারেননি ৪৪ বছরের ওই ব্যক্তি। আচমকা ঝন্ঝন্ শব্দ। দড়ি ছিঁড়ে ভেঙে পড়ে লিফ্ট। গুরুতর জখম বাবা, ছেলে। দু’জনকেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মারা যান বাবা। সাত বছরের ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির কালিন্দীকুঞ্জের একটি আবাসনের ঘটনা।

মৃতের নাম নবাব শাহ। পেশায় তিনি এক জন নির্মাণ ব্যবসায়ী। গত এক বছর ধরে কালিন্দীকুঞ্জের ওই আবাসনে সপরিবারে তিনি থাকেন। ছেলে ফারহান এখনও হাসপাতালে।

Advertisement

বুধবার সকালে ছেলের সঙ্গে চার তলার ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে লিফ্টে উঠেছিলেন নবাব। কয়েক সেকেন্ডের মাথায় লিফ্টটি সবেগে নামতে শুরু করে। ভিতরে তখন বাবা আর ছেলে। এক তলায় ভেঙে পড়ার সময় বিকট শব্দ হয়। তাতেই ছুটে আসেন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকেল ৫টার সময় মারা যান নবাব।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ যশোলা বিহারের এক হাসপাতাল থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই আবাসনে পৌঁছয় তারা। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, লিফ্টের দড়ি ছিঁড়ে এই দুর্ঘটনা। নবাবের পা, পায়ের পাতা ভেঙে গিয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, মাত্র দু’বছর আগে আবাসনটি তৈরি হয়েছিল। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, লিফ্টটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হত না।

৩০৪এ (গাফিলতির কারণে মৃত্যু)-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আবাসনটি নির্মাণ করেছে যে সংস্থা, তাঁর মালিকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement