বসুন্ধরা রাজে। ছবি: পিটিআই।
বসুন্ধরা রাজের নেতৃত্বে বৈঠকে বসলেন রাজস্থান বিধানসভা ভোটে সদ্যজয়ী ২০ জন বিজেপি বিধায়ক। তবে রাজধানী জয়পুরের সর্দার পটেল মার্গে দলের রাজ্য দফতরে নয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি নিবাস ১৩ নম্বর সিভিল লাইন্সে।
সোমবারের এই ঘটনাকে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের উপর বসুন্ধরার চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, বসুন্ধরা এ বার তাঁর পুরনো কেন্দ্র ঝালারাপাটনে জিতলেও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের ‘সুনজরে’ না থাকায় তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কঠিন। এই পরিস্থিতিতে ঢোলপুরের মহারানির ‘রণকৌশল’ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে বসুন্ধরার বাড়ির ওই বৈঠকে গোপীচাঁদ মীনা, শঙ্কর সিংহ রাওয়তের মতো হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কেরা হাজির ছিলেন। বৈঠকে হাজির দুই প্রভাবশালী সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক বাহাদুর সিংহ এবং সুরেশ রাওয়ত প্রস্তাব দেন, বসুন্ধরাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে তাঁরা বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন। সেই প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরে জল্পনার এই আবহেই সোমবার রাজস্থান বিজেপির সভাপতি চন্দ্রপ্রকাশ জোশী এবং বিধানসভা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক প্রহ্লাদ জোশী দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভা এ বার বিজেপি ১১৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৬৯টি। নির্দল এবং অন্য দলগুলির প্রার্থীরা জিতেছেন ১৫টি আসনে।
বসুন্ধরার বদলে বিজেপি হাইকমান্ড কাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা দানা বেঁধেছে রাজস্থানে। তার প্রথম সারিতেই আছে সদ্য বিধানসভা ভোটে জয়ী দুই লোকসভা সাংসদ— দীয়া কুমারি এবং মহন্ত বালকনাথ। জয়পুরের রাজকুমারী দিয়া কুমারী অমিত শাহের পছন্দের বলে দলের একটি সূত্রের খবর। অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথে ঘনিষ্ঠ বালকনাথ। আদিত্যনাথের মতোই তিনিও নাথ সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রপ্রকাশ, বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রাজেন্দ্র সিংহ এবং প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি, ওপি মাথুর ও সতীশ পুনিয়ার নাম রয়েছে জল্পনার তালিকায়। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুনরাম মেঘওয়ালের পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সদ্যজয়ী বিধায়ক রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের নামও রয়েছে আলোচনা