—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবাস যোজনার ঘরের টাকা নেওয়ার আগে মেটাতে হবে পঞ্চায়েতের বকেয়া কর!
সরকারি নির্দেশিকা না থাকলেও এ হেন ফরমান জারি করেছে পঞ্চায়েতের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গলা ধাক্কা দিয়ে মারধর করে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার কলসুর পঞ্চায়েতে। দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ে হয়েছে। ‘প্রহৃত’ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে আবার দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রধান।
কলসুর পঞ্চায়েতে আবাসের বাড়ির তালিকা তৈরি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। বেশ কিছু স্বচ্ছল, একতলা-দোতলা বাড়ির মালিকের নাম তালিকায় থাকলেও গরিব, গৃহহীনদের অনেকের নাম বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে কয়েক দিন আগে পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয়, সরকারি ঘর পেতে হলে আগেই শোধ করতে হবে বকেয়া কর! যাঁরা ঘর পাচ্ছেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে এমন নিয়ম চালু হয়নি।
এই সিদ্ধান্তেরই প্রতিবাদ করেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রাকেশ পাড়ুই। অভিযোগ, প্রধান মিরাতুন নাহার ও তাঁর স্বামী সিরাজুল ইসলাম শনিবার রাকেশকে মারধর করে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেন। রাকেশ বলেন, ‘‘আবাসের বাড়ি পেতে বকেয়া কর নেওয়ার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করা হয়েছে।’’ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মিরাতুন-সিরাজুলেরা বলেন, ‘‘রাকেশ পঞ্চায়েতে এসে দুর্ব্যবহার করেন। টেবিল চাপড়ান এবং অন্যান্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মারধর করা হয়নি।’’ বকেয়া কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েতের সদস্যেরা মিলেই নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। যদিও এমন কোনও ফরমান সরকার জারি করেনি বলেও মেনে নিয়েছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, বাসিন্দাদের অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে কর দেননি, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য মফিদুল হক শাহজি ওরফে মিন্টু বলেন, ‘‘বিষয়টি কেউ জানায়নি, খোঁজ নিয়ে দেখছি। গরিব মানুষ বিপাকে পড়েন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিডিও ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।