নতুন চেহারায় মন্দির। নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবনের কুড়েখালি নদীর পাড়ে পাথর দিয়ে মোড়া বনবিবির ঝাঁ চকচকে মন্দিরের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহিদুল্লা গাজি এবং পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল মণ্ডল।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগত কাজে টাকিতে এসেছিলেন। সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া কুড়েখালি নদীর পাড়ে ভাঙাচোরা বনবিবির মন্দিরটি তাঁর চোখে পড়ে। মমতা ওই মন্দির ভাল করে সংস্কারের জন্য অর্থ মঞ্জুর করেন। রবিবার নবরূপে সেই মন্দিরেরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে এক গাড়িতে যাতে সুন্দরবনে পৌঁছনো যায়, সে জন্য আপাতত আমরা নেবুখালি এবং ভান্ডারখালি পন্টুন সেতু করার পরিকল্পনা করেছি। সুন্দরবন এলাকার যেখানে রাস্তা হয়নি বা খারাপ, তা করা হবে। পাশাপাশি, স্কুল ভবনগুলিরও উন্নয়ন ঘটানো হবে।’’
শতাব্দী প্রাচীন এই বনবিবির মন্দির পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় স্থান। নবরূপে মন্দিরে ভক্তদের বসার জায়গায় আলো, ফ্যান লাগানো হয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত সহদেব মণ্ডল বলেন, ‘‘জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া, মধু সংগ্রহে যাওয়ার আগে এখানকার মানুষ বনবিবির থানে পুজো দিয়ে তবেই জঙ্গলে পা বাড়ান।’’