Narendra Dabholkar Murder

যুক্তিবাদী আন্দোলনের মুখ দাভোলকরের দুই খুনির যাবজ্জীবন জেল, মুক্তি অভিযুক্ত ‘হিন্দুত্ববাদীর’!

পেশায় চিকিৎসক তথা কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকরকে ২০১৩-র ২০ অগস্ট গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এর পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মদতের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ১২:৫৬
নরেন্দ্র দাভোলকর।

নরেন্দ্র দাভোলকর। ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রে যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকর খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী শরদ কালাসকর এবং সচিন আন্ডুরেকে ‘দোষী’ ঘোষণা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল পুণের বিশেষ সিবিআই আদালত। তবে তথ্যপ্রমাণের অভাবে বীরেন্দ্র তাওড়ে, আইনজীবী সঞ্জীব পুনালেকর এবং বিক্রম ভাবেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পেশায় চিকিৎসক তথা কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকরকে ২০১৩ সালের ২০ অগস্ট গুলি করে খুন করা হয়। এই খুনের পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআই চার্জশিটে হিন্দুত্ববাদী নেতা বীরেন্দ্রকে ওই খুনের মামলার ‘প্রধান চক্রান্তকারী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

মামলার মূল সাক্ষী কিরণ কাম্বলে বলে পুণে পুরসভার এক সাফাইকর্মী আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন। তিনি জানান, দাভোলকর খুনের দিন, অর্থাৎ ২০ অগস্ট তিনি নিজের কাজ সেরে রাস্তার ধারে একটি ডিভাইডারের উপরে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সে সময় তিনি পটকা ফাটানোর মতো আওয়াজ পান। সে দিকে তাকিয়ে তিনি দেখেন, এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে দু’জন গুলি চালাচ্ছে। তার পরেই ওই দুই ব্যক্তি কিরণ যে দিকে বসে ছিলেন, সে দিকে পুলিশ চৌকি পর্যন্ত ছুটে আসে এবং রাস্তার ধারে পার্ক করে রাখা মোটরবাইক স্টার্ট করে পালিয়ে যায়।

পরে দাভোলকরের দুই ঘাতক শরদ এবং সচিনকে শনাক্তও করেছিলেন তিনি। শুধু দাভোলকর নয়, গত এক দশকে যুক্তিবাদী আন্দোলনে যুক্ত সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ, গোবিন্দ পানসারে-সহ একাধিক খুনের নেপথ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। মামলার আর এক সাক্ষী, পেশায় মূর্তি ব্যবসায়ী সঞ্জয় সদভিলকর আদালতকে জানিয়েছিলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী বীরেন্দ্র তাঁকে পিস্তল এবং কার্তুজের প্রতিরূপ বানানোর বরাত দিয়েছিলেন।

লঙ্কেশ খুনের মামলায় অভিযুক্ত অমোল কালের সঙ্গে বীরেন্দ্রর ‘যোগাযোগের’ প্রমাণও পেয়েছিল সিবিআই। দাভোলকরের খুনের ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে নালাসোপারার একটি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে শরদকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই ‘খুনের মূলচক্রী’ বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement