— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
টাকার জন্য ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরকে অপহরণ করে খুন করল বন্ধুরাই! উত্তর দিল্লির ওয়াজিরাবাদ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, নিহত কিশোর এলাকারই এক স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিন নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
বুধবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত কিশোরের নাম বৈভব গর্গ। মিলন বিহারের বাসিন্দা বৈভব মুখার্জিনগরের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বৈভবের বাবা বিকাশ গর্গ পেশায় গাড়িচালক। সোমবার হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় ওই কিশোর। পরে বৈভবের পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে একটি ফোন আসে। বলা হয়, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ না দিলে বৈভবকে ছাড়া হবে না। এমনকি, প্রাণ সংশয়ও হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই ওয়াজিরাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরের পরিবার।
তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাতেই দেখা যায়, বৈভবকে শেষ বার ঝরোদা পুস্ত রোডের কাছে তিন নাবালকের সঙ্গে একটি বাইকে উঠতে দেখা গিয়েছিল। এর পরেই ওই তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে টাকার জন্য বন্ধুকে অপহরণ ও খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত নাবালকেরা। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) রাজা বান্থিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তেরা সকলেই নাবালক। তারাই টাকার জন্য বন্ধুকে অপহরণ ও খুনের ছক কষেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার অভিযুক্তেরা বৈভবকে আড্ডা দেওয়ার নাম করে বাইকে চাপিয়ে ভালাসওয়া হ্রদের কাছে একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে ছুরির আঘাতে বন্ধুকে হত্যার পর দেহটি সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় তারা। তার পর সোমবার বৈভবের ফোন থেকেই তার বাবাকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কিশোরদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভালাসওয়ার অদূরের জঙ্গল থেকে বৈভবের দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।