—প্রতীকী ছবি।
বাহন জিনিসটি প্রত্যেকেরই আকাঙ্ক্ষার বা স্বপ্নের। বাহন যে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস তা নয়, বাহন আভিজাত্যেরও লক্ষণ। বর্তমান কালে বাহন যন্ত্রচালিত হলেও এক সময় বাহন বলতে হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি বোঝানো হত এবং তা আভিজাত্যের ছাপও বহন করত।
তবে বাহন ক্রয় করার শুধু ইচ্ছা থাকলেই হবে না, সঠিক সময়ও থাকতে হবে। সঠিক সময় অর্থাৎ বাহন ক্রয় যোগ সক্রিয় হওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হাতে সামান্য টাকা থাকলেই বিভিন্ন পন্থায় দামি গাড়ি কেনার প্রবণতা বাড়ে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয়, গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সময় কথার অর্থ কী? জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সময় বলতে গেলে দশা বা অন্তর্দশা এবং গোচরকালীন সৃষ্ট যোগ সক্রিয় হওয়া বোঝায়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শুক্র গ্রহকে যানবাহন বা বিলাসবহুল দ্রব্যের কারক মানা হয়। অর্থাৎ বিলাসবহুল দ্রব্যক্রয় বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুক্রের কিছু না কিছু ভূমিকা থাকবেই। অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহের অবস্থান এবং শুভ অশুভ ইত্যাদির উপর অবশ্যই নির্ভর করে এই বিষয়টি
কখন বাহন যোগসৃষ্টি হয়?
জন্ম ছকের চতুর্থ স্থান থেকে গৃহ, বাহন ইত্যাদি বিচার করা হয়। একাদশ স্থান লাভস্থান। শাস্ত্র মতে একাদশ গৃহে কম বেশি সমস্ত গ্রহই শুভ ফল দান করে। কিছু না কিছু লাভ বা আয়দান করে। চতুর্থপতি যখন একাদশ বা লাভগৃহে গমন করে তখন অন্যান্য সুখের সহিত যানবাহন ক্রয়েরও যোগ সৃষ্টি হয়।
লগ্নপতি এবং একাদশপতির স্থান বিনিময় অর্থাৎ লগ্নপতি একাদশ গৃহে এবং একাদশপতি লগ্নে অবস্থান করলে যানবাহন ক্রয়ের যোগ সৃষ্টি হয়।
রবির চতুর্থ রাশিতে অবস্থান কালে, চতুর্থ রাশির অধিপতি উচ্চস্ত অবস্থায় শুক্রের সহিত অবস্থান করলে যানবাহন ক্রয়ের যোগ সৃষ্টি হয়। শুক্র গ্রহবিলাসিতার কারক। লগ্ন বা রাশির চতুর্থ স্থানের সহিত শুক্র গ্রহের শুভ সম্পর্ক বাহন ক্রয়ের যোগ নির্মাণ করে।