—প্রতীকী ছবি।
দীপাবলির মতো ধনতেরসও বাঙালির পরব হয়ে উঠেছে। সেই দিনে সনাতন ধর্ম মতে লক্ষ্মী ও কুবেরের পুজো করতে হয়। একই সঙ্গে মনে করা হয় সোনা, রুপো বা বাসনপত্র কেনাও শুভ। এগুলি কিনে আনলে সংসারে লক্ষ্মী আসেন। এর ফলে সংসারে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। একই সঙ্গে আসে সুখ, শান্তি, সৌভাগ্য। বিশেষ করে আর্থিক উন্নতি হয়।
ওই দিনে লক্ষ্মীর অবস্থান রয়েছে এমন জিনিস কেনাকাটা করা অবশ্যই ভাল কিন্তু কিছু জিনিস রয়েছে যা সংসারের জন্য অন্য যে কোনও দিন কেনা গেলেও ধনতেরসের দিনে নৈব নৈব চঃ। মনে করা হয়, এর ফলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। সংসারে সুখের পরিবর্তে অসুখ, জীবনে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য এসে যেতে পারে। তাই কেনাকাটার আগে সেই তালিকাও জেনে রাখা উচিত।
লোহা— ধনতেরসের দিনে লোহার তৈরি কোনও কিছুই ঘরে আনার দরকার নেই। মনে করা হয়, এই দিনে লোহা কিনলে সোনার অধিকর্তা দেবতা কুবের ক্ষুণ্ণ হন।
ইস্পাত— অনেকেই এই দিনে ইস্পাত বা স্টিলের বাসন কিনে থাকেন। যাঁরা কেনেন তাঁরা না জেনেই কেনেন। অনেকে স্টিলের বাসন কিনতে বললেও আসলে তামা বা ব্রোঞ্চের কিছু কেনা যেতে পারে।
ধারালো সামগ্রী— বাড়িতে বটি, ছুড়ি সবই সাংসারিক কাজে লাগে। কিন্তু ধনতেরসের দিনে এ গুলি কেনা ঠিক নয়। আসলে ধারালো কিছু কেনাকে সংসারের পক্ষে অশুভ মনে করা হয়। ছুরি, কাঁচি, সূচও কিনবেন না।
ফাঁকা কলসি— অনেকেই ধনতেরসের দিনে হাঁড়ি, কলসি কেনেন। এতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ফাঁকা হাড়ি বা কলসিকে অশুভ মনে করা হয়। দোকান থেকে ভর্তি অবস্থায় হাঁড়ি, কসলি কেনা যায় না। তবে বাড়িতে ঢোকানোর আগে জল বা চাল কিনে ভরে নিতে হবে।
কাচের সামগ্রী— বাসন ধাতুর কিনতে পারেন কিন্তু কাচের নয়। ধনতেরসের দিনে কোনও রকম কাচের সামগ্রী কেনা যাবে না। কারণ, কাচের সঙ্গে রাহুর সংযোগ আছে বলে মানে করা হয়। তাই এই দিন কাচের বাসন, শো-পিস, ফোটো ফ্রেম এই ধরনের কোনও কিছু একেবারেই কিনবেন না।
তেল বা ঘি— এমনিতে তেল ও ঘিকে সনতান মতে পবিত্র মনে করা হয়। কিন্তু ধনতেরাসের দিন তেল জাতীয় কিছু কেনা ঠিক নয়। একান্ত প্রয়োজন হলে, ধনতেরাসের আগে বা পরে তেল জাতীয় জিনিস কিনে রাখুন। দীপাবলির প্রদীপ জ্বালানোর তেলও সময় দেখে কিনুন। ত্রয়োদশী তিথি চলার মধ্যে একেবারেই নয়।
নকল সোনা— ধনতেরসে সোনা ও রুপোর গয়না কেনা শুভ। কিন্তু সামর্থ্য না থাকলে নকল সোনার গয়না একেবারেই কিনবেন না। তার বদলে অন্য কিছু কিনুন।