জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ছয়টি লগ্নের যোগকারক গ্রহ আছে। প্রতীকী ছবি।
যোগকারক কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যুক্তকারী গ্রহ। যে গ্রহ জন্ম কুণ্ডলীর (লগ্নের সাপেক্ষে) কেন্দ্র এবং ত্রিকোণ স্থান যুক্ত করে, সেই গ্রহই যোগকারক গ্রহ। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, লগ্নের কেন্দ্রস্থান বিষ্ণু স্থান এবং ত্রিকোণ স্থান লক্ষ্মী স্থান। কেন্দ্র স্থান কী? লগ্নের চতুর্থ, সপ্তম এবং দশম স্থান কেন্দ্র স্থান (বিষ্ণু স্থান)। ত্রিকোণ স্থান কী? পঞ্চম এবং নবম স্থান ত্রিকোণ স্থান (লক্ষ্মী স্থান)। শাস্ত্র মতে কোন গ্রহ একই সঙ্গে কেন্দ্র এবং ত্রিকোণ স্থানের অধিপতি হলে উক্ত গ্রহ যোগকারী (কেন্দ্র ত্রিকোণ) গ্রহ বা যোগকারক গ্রহ হিসাবে কাজ করে। যোগকারক গ্রহের বিশেষত বিষ্ণু এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ দানের সমান ফল দান করে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ছয়টি লগ্নের যোগকারক গ্রহ আছে।
বৃষ লগ্নের নবম (ত্রিকোণ) এবং দশম (কেন্দ্রের) স্থানের অধিপতি গ্রহ শনি। শনি বৃষ লগ্নের জাতক জাতিকাগণের ক্ষেত্রে যোগকারক শুভ ফল দাতা গ্রহ।
কর্কট লগ্নের পঞ্চম (ত্রিকোণ) এবং দশম (কেন্দ্রের) অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। মঙ্গল কর্কট লগ্নের জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে শুভ (যোগকারক) গ্রহ।
সিংহ লগ্নের চতুর্থ (কেন্দ্র) এবং নবম (ত্রিকোণ) স্থানের অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। মঙ্গল সিংহ লগ্নের জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে শুভ যোগকারক গ্রহ।
তুলা লগ্নের চতুর্থ (কেন্দ্রের) এবং পঞ্চম (ত্রিকোণ) স্থানের অধিপতি গ্রহ শনি। শনি তুলা লগ্নের জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে শুভ যোগকারক গ্রহ।
মকর লগ্নের পঞ্চম (ত্রিকোণ) এবং দশম (কেন্দ্র) স্থানের অধিপতি শুক্র। মকর লগ্নের জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে শুক্র শুভ যোগ কারক গ্রহ।
কুম্ভ লগ্নের চতুর্থ (কেন্দ্র) এবং নবম (ত্রিকোণ) স্থানের অধিপতি গ্রহ শুক্র। শুক্র কুম্ভ লগ্নের জাতক-জাতিকাদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ কারক গ্রহ।
যোগকারক গ্রহ সর্বদা সুফল দান করে। যোগকারক গ্রহের মহাদশা, অন্তঃদশা এবং প্রত্যন্ত দশা কালে বিভিন্ন ভাবে শুভফল দান করে থাকে।
যোগকারক গ্রহের পূজা, বিভিন্ন দান এবং বিভিন্ন প্রকার প্রতিকারে বিশেষ শুভফল লাভ হয় বা শুভত্ব বৃদ্ধি হয়।