শীতের সকালে শরীরচর্চার কার্যকারীতা বেশি হলেও তা অনিয়মিত হয়ে পরে। ছবি সংগৃহীত
শীতের সকাল মানেই অলসতা। অ্যালার্মের শব্দ শুনেও যেন উঠতে অনীহা। উঠছি উঠছি করে আবারও ঘুম। ফলস্বরূপ সকালের জলখাবার, ক্লাস কিংবা অফিস, সব কিছুর জন্যই করতে হয় তাড়াহুড়ো। অন্য দিকে, শীতের সকালে শরীরচর্চার কার্যকারীতা বেশি হলেও তা অনিয়মিত হয়ে পরে।
রইল শীতের সকালে আলস্য দূর করার কিছু সহজ হদিশ
খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিন
শীতের মরসুম মানেই পিকনিক, বিয়েবাড়ি আর সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। তবে এই সময়ে সহজে হজমযোগ্য খাবার গ্রহণ করা খুব জরুরি। খাদ্যতালিকায় বার্লি, গম, চাল, বাজরা, ভুট্টা যোগ করুন। ডালের মধ্যে মুগ, কালো ছোলা, মুসুর উপকারী। ডায়েটে আমলা রাখতে পারেন। আদা, তুলসী, হিং, এলাচ, দারচিনি, হলুদ, জিরে, মৌরি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জায়ফল, লেবু, রসুনের মতো জিনিস হজমশক্তি বাড়াতে বিশেষ উপকারী। তিল এবং তিসি ক্যালশিয়ামের ভাল উৎস। শীতকালের খাদ্যতালিকায় এগুলি অবশ্যই রাখুন। দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, আখ, গুড়ও এই সময় নিজের ডায়েটে রাখতে পারেন।
নিয়মিত যোগাসন করুন
যোগাসন শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং আপনাকে সারা দিন সক্রিয় রাখে। এই কয়েকটি আসন বিশেষ ভাবে করে দেখতে পারেন।
শলভাসন
এই আসন শরীরে তত্পরতা যোগ করে এবং পুরো পিঠ, কাঁধ ও বাহুগুলির নমনীয়তা বাড়ায়। শক্তি বাড়ে। এই যোগাসনের ভঙ্গিটি হজমশক্তি বাড়াতেও সাহাজ্য করে।
বীরভদ্রাসন
এই আসনটি বাহু, পা এবং পিঠের নীচের অংশকে শক্তিশালী করে। যাঁদের একটানা অনেক ক্ষণ বসে কাজ করতে হয়, সেই ব্যক্তিদের জন্য এই আসন অত্যন্ত উপকারী।
সেতু বাঁধাসন
এই আসন পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে। তাত্ক্ষণিক ভাবে ক্লান্তি দূর করে। আপনার শরীরকে নমনীয় করতে এবং মেরুদণ্ডের চাপ সহনশীলতার মাত্রা বাড়াতে এই আসন অত্যন্ত উপকারী। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত করে, উদ্বেগ, চাপ এবং বিষণ্ণতা কমায়।
শীতের দিনে গরম তেল মালিশ করতেই পারেন
ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে গরম তেল মালিশ করে দিন শুরু করুন। বিশেষ করে তিলের তেল মালিশ করলে ভাল ফল মিলবে। গরম তেল মালিশ রক্তসঞ্চালন উন্নত করে এবং চর্বি অপসারণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, হজমশক্তি উন্নত করে এবং শীতকালে সাধারণ আলস্য কমায়।