গ্যাসের সমস্যা না কমালে এখান থেকেই দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগ। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি খাদ্যরসিক। উৎসব উদ্যাপন থেকে শুরু করে ঘরোয়া আড্ডা— খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনের পর দিন এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস-অম্বল পিছু ছাড়ছে না। গ্যাসের সমস্যা না কমালে এখান থেকেই দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগ। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় ঠিকই। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা না করলেও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। রোজের এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কোন যোগাসনগুলি নিয়ম করে মন দিয়ে করবেন?
পশ্চিমোত্তাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক ঊরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বালাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দু’টি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। প্রতি দিন এটা করলে গ্যাসের সমস্যা কমবে।
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া করে রাখুন। শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। হাত দুটো ঊরুর উপর টানটান করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসুন। এই আসনটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে রাখে।