হাঁটুর ব্যথা কমাতে কার্যকর একটি ব্যায়াম হল স্কোয়াট্স। ছবি: সংগৃহীত।
হাঁটুর ব্যথা এখন প্রতিটি ঘরের সমস্যা। ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে ব্যথার প্রবণতা বেশি হলেও মধ্যবয়সে পৌঁছে অনেকেই এই ব্যথার আঁচ পেয়ে থাকেন। কম বয়সিদের হাঁটুতে ব্যথা যে সব সময়ে বাতের কারণে হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময়ে চোট, আঘাত লাগার কারণেও হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। আবার হয়তো ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে, পড়ে গিয়ে বা বাড়ির কোনও কাজ করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। সেই পুরনো চোটের উপর শরীরচর্চা করে গিয়ে নতুন করে ব্যথা পেলে তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই পারে। এমন অবস্থায় ব্যথা হাঁটু নিয়ে এক পা বাড়ানোই দায়। চিকিৎসকের যাওয়ার আগে বাড়িতে প্রাথমিক ভাবে ব্যথা কমাতে কী করবেন?
১) বরফের সেঁক দিতে হবে
এমন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হাঁটুতে বরফের সেঁক দিতে হবে। চোট লেগে রক্তজমাট বাঁধলে, সেখান থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দিতে পারে বরফ।
২) হাঁটু সচল রাখতে হবে
চোট লেগেছে বলে একেবারে বিছানা থেকে নামা বন্ধ করে দিলেন। এতে কিন্তু ব্যথা কমবে না। বরফ দিয়ে ব্যথা কমিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পা নাড়াচাড়়া করার চেষ্টা করতে হবে।
৩) নমনীয়তার দিকে নজর দিতে হবে
ব্যথা কমলে ধীরে ধীরে হাঁটুর নমনীয়তার উপর নজর দিতে হবে। হাঁটুর ব্যথা কমাতে কার্যকর একটি ব্যায়াম হল স্কোয়াট্স। পায়ের পেশি মজবুত করার পাশাপাশি হাঁটুর অস্থিসন্ধির জোর বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই ব্যায়াম।
৪) পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
হাঁটুর ব্যথা সারতে সময় লাগে। ব্যথা পুরোপুরি সারার আগেই যদি আবার ভারী জিনিস তুলতে বা হাঁটুতে চাপ দিয়ে বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে শুরু করে দেন। সে ক্ষেত্রে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে ব্যথা কমলে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে যেতে পারেন।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
ঘরোয়া সব টোটকা মেনে যদি দিন কয়েকের মধ্যে ব্যথা না কমে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চোটের মাত্রা যদি গুরুতর হয়, সে ক্ষেত্রে বাড়ির কোনও পন্থাই কাজে আসবে না।