Yoga for Constipation

শাকপাতা খেয়েও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিছুতেই কমছে না? যোগমন্ত্রেই হবে মুশকিল আসান

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যত দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়, ততই ভাল। রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আরও একটি পথ হতে পারে যোগাসন। তবে কোন আসন নিয়মিত করলে উপকার পাবেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ১৫:৩৪
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হতে পারে যোগাসনেই।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হতে পারে যোগাসনেই। ছবি: সংগৃহীত।

সকালে শৌচালয়ে ঢুকলেই অনেকেরই অফিস যেতে দেরি হয়ে যায়। কারণ একটাই— কোষ্ঠকাঠিন্য। যাঁরা সমস্যার শিকার, তাঁদের এমনিতেই খাবার খেতে হয় মেপে। তবুও সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না এই সমস্যা থেকে। ডায়েটে বেশি করে ফাইবারযুক্ত খবার রেখেও অনেকেরই সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগলে অনেক সময় অন্য কোনও রোগেরও ঝুঁকি থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যত দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়, ততই ভাল। রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আরও একটি পথ হতে পারে যোগাসন। তবে কোন আসন নিয়মিত করলে উপকার পাবেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

Advertisement
মালাসন। ছবি: সংগৃহীত।

মালাসন। ছবি: সংগৃহীত।

মালাসন

বেশ সহজ একটি যোগাসন। প্রথমে মাটিতে বসুন। তার পর দুই পা দু’দিকে দিয়ে উঁচু হয়ে বসুন। দু’পা যথা সম্ভব কাছাকাছি রাখুন। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে রাখুন। টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।

পবনমুক্তাসন। ছবি: সংগৃহীত।

পবনমুক্তাসন। ছবি: সংগৃহীত।

পবনমুক্তাসন

প্রথমে সোজা হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে প্রথমে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে দু’হাত দিয়ে চেপে ধরুন। হাঁটু বুক ও পেটের সংস্পর্শে থাকবে। এ ভাবে কিছু ক্ষণ থাকার পর ডান হাঁটু ধীরে ধীরে নামিয়ে বাম হাঁটু বুকের কাছে একই ভাবে তুলে আনুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এ অবস্থায় কিছু ক্ষণ থাকার পর বাম হাঁটু নামিয়ে নিন। প্রতি দিন নিয়ম করে৪-৫ মিনিট এই অনুশীলনটি করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার নিরাময় হবে।

ধনুরাসন। ছবি: সংগৃহীত।

ধনুরাসন। ছবি: সংগৃহীত।

ধনুরাসন

পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক, হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

ভুজঙ্গাসন।

ভুজঙ্গাসন। ছবি: শাটারস্টক।

ভুজঙ্গাসন

মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।

সেতুবন্ধাসন। ছবি: শাটারস্টক।

সেতুবন্ধাসন। ছবি: শাটারস্টক।

সেতুবন্ধাসন

প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।

আরও পড়ুন
Advertisement